এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,১৫ মার্চ : মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে পাকিস্থান । আর এই সঙ্কটের কারণে খাদ্যদ্রব্যসহ যাবতীয় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে । এদিকে এর প্রভাব পড়েছে পাকিস্থানের ওষুধ উৎপাদনের উপর । বিভিন্ন জীবনদায়ক ওষুধের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে দেশে, কারন কাঁচামালের আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে । পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী,পাকিস্তানের ১৪০ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটি অফ পাকিস্তানের (DRAP) কাছে প্রায় ১৩০০ টি ওষুধের একটি তালিকা জমা দিয়েছে,যেগুলির উৎপাদন বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ।
সম্প্রতি পাকিস্তানের ১০০ টির বেশি ওষুধ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এনিয়ে অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে ইসলামাবাদে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন । ওই বৈঠকে বর্তমান পরিস্থিতি মন্ত্রীর সামনে সবিস্তারে তুলে ধরেন পাকিস্তানের ওষুধ কোম্পানির মালিকরা । আমদানি পণ্যের উপর সরকারের নীতির কারণে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনের প্রস্তাব রাখে ওষুধ কোম্পানিগুলি । বৈঠকে ওষুধ কোম্পানির তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিপিএমএ) চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক বুখারিসহ অন্যান্য সদস্যরা ।
পিপিএমএ-এর কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক বুখারি বলেছেন,আমরা অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের সাথে একটি বৈঠক করেছি এবং তাকে স্পষ্টভাবে বলেছি যে প্রায় ১৪০ টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এই বিষয়ে ১৩০০ টি ওষুধের একটি তালিকা মন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে । তিনি বলেন,সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হল,ওষুধগুলি হৃদরোগ, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট, মৃগীরোগ, অ্যালার্জি, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যানেস্থেসিয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় । সারা দেশে এসব ওষুধের উৎপাদন ও সরবরাহ কম । এমনকি ওআরএসসহ জেনেরিক ওষুধও বাজারে খুবই কম পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, হেপারিন একটি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ যা প্রায়শই ব্যবহার করা হয় এবং এর ঘাটতি গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করবে কারণ এটি জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আসা রোগীদের জন্য দেওয়া হয় । সৈয়দ ফারুক বুখারী বলেন, আমরা অর্থমন্ত্রীকে জানিয়েছি যে এটি দেশের ওষুধ শিল্পের সঙ্কট নয়, এটি আসলে একটি জাতীয় সংকট কারণ লাখ লাখ মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে ।।