এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটিহার(বিহার),১০ ফেব্রুয়ারী : বিহারের ফের একবার লাভ জিহাদের ঘটনা সামনে এল । ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গেছে,নিজের আসল পরিচয় গোপন রেখে প্রভা ভারতী(২১) নামে এক মহিলা কনস্টেবলকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল মোহাম্মদ ছোট হাসান নামে এক ব্যক্তি । কিন্তু প্রভা তার প্রেমিকের আসল পরিচয় জানতে পেরে এড়িয়ে যেতে শুরু করে । এদিকে হাসান বিয়ের জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে । সে প্রভা ভারতীর ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকিও দেয় । তাতেও কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রভাকে গুলি করে খুন করল হাসান । বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কাটিহার জেলার কোডা থানার ভাটওয়ারা এলাকায় । এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ ছোটু ওরফে হাসান ছাড়াও আরশাদ, মহম্মদ কাদির, প্রিয়ুস, মনু, মহম্মদ দানিশ, মহম্মদ সাজ্জাদ, প্রবীণ যাদবের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে পুলিশ । অভিযুক্তদের মধ্যে মোহাম্মদ কাদিরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাটিহারের এসপি জিতেন্দ্র কুমার । জানা গেছে, পুলিশ প্রভার দেহের কাছ থেকে দুটি খালি কার্তুজ ও একটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে । এছাড়া প্রভার ব্যাগ, মোবাইল ও ইয়ার ফোন উদ্ধার হয়েছে । মূল অভিযুক্ত সহ বাকিদের ধরতে এসআইটি গঠন করে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেদনে জানা গেছে,প্রভা ভারতী মুঙ্গেরের বাসিন্দা । অন্যদিকে হাসানের বাড়ি কাটিহারের মোরসান্দা গ্রামে । হাসান নিজের ধর্ম পরিচয় গোপন রেখে প্রভার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল । ক্রমে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে । কিন্তু কিছুদিন পর ছোট হাসানের আসল পরিচয় জানতে পেরে যায় প্রভা । আর তারপর থেকেই তিনি হাসানকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন । এদিকে প্রভাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে হাসান । কিন্তু তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন প্রভা । হাসানের কাছে প্রভার কিছু ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও ছিল । সে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দিতে শুরু করে । এভাবে ব্লাকমেল করেও প্রভাকে রাজি করাতে পারেনি খুনি হাসান ।
জানা গেছে,বুধবার কাটিহার পুলিশ লাইনে ডিউটিতে ছিলেন প্রভা । কাটিহারে আসার সময় হাসানের সঙ্গে তার দেখা হয় । হাসান কথা বলার অছিলায় তাকে নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে যায় ৷ আর তার কথা শুনে প্রভা সেখানে যেতেই তার মাথা লক্ষ্য করে পরপর দু’রাউন্ড গুলি চালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় হাসান । এদিকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রভা ভারতীর । প্রভার দিদি প্রতিমা কুমারী সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন, ছোট হাসানের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল প্রভা । কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি । পুলিশ যদি ঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিত তাহলে আজ আমার বোনকে এভাবে মরতে হত না ।’ যদিও পুলিশের দাবি, প্রভার অভিযোগের পর হাসানের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ । কিন্তু তার আগেই সে পালিয়ে যায় ।’।