প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১০ মে : বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর তা জানার পরেই প্রতিবাদ স্বরুপ ’অন্নদাশঙ্কর’ সম্মামনা ত্যাগ করলেন বর্ধমানের খাগড়াগড় নিবাসী লেখিকা ও গবেষক রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায়।পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমিকে চিঠি পাঠিয়ে লেখিকা তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও দিয়েছেন । পাশাপাশি ২০১৯ সালে পাওয়া ’অন্নদাশঙ্কর’ সম্মামনা’ তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন ।লেখিকার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি কবি ও সাহিত্যিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ।যদিও লেখিকা রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায় তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন ।
এই বছরই প্রথম বাংলা আকাদেমির নামাঙ্কিত ‘রিট্রিভার্সিপ’ পুরস্কার দেওয়া চালু হয় । সমাজের অন্যান ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি যাঁরা নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন তাঁদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা আকাদেমি।তারা বাংলার বেশ কাছু পথিতযশা সাহিত্যিকের মতামত নিয়ে ’কবিতা বিতান ’কাব্যগ্রন্থের জন্যে প্রথম বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ’রিট্রিভার্সিপ’ পুরস্কার দেওয়ায় জন্য মনোনিত করেন ।সোমবার ২৫ শে বৈশাখ উপলক্ষে রাজ্য সরকার আয়োজিত কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলা আকাদেমি ’রিট্রিভার্সিপ’ পুরস্কার যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ার বিষটি কিছুতেই মেনে নিতে পারেন নি লেখিকা ও গবেষক রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায়।তিনি ২০০৯ সালে ও ২০১৯ সালে আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন । মুসলিম বিয়ের গান সহ নানা বিষয়ে গবেষণা রয়েছে। অজস্র প্রবন্ধ ও গল্প লেখিকা রত্নাদেবীর ঝুলিতে রয়েছে ৩০ টি পুরস্কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছেও ক্ষোভ উগড়ে দেন । তিনি বলেন,’যেভাবে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে তার একটা প্রতিবাদ দরকার ।’
পাশাপাশি রত্নাদেবী এও জানান, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের লেখাগুলিকে তিনি সাহিত্য পদবাচ্য বলেই মনে করেন না। যারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিলেনে তা নিয়েও তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন এরপরেই তিনি জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আকাদেমি পুরস্কার দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে ২০১৯ সালে পাওয়া অ্যাকাডমি পুরস্কারটি তিনি ফিরিয়ে দিচ্ছেন । এই প্রসঙ্গে লেখিকা রত্না রশীদ বন্দোপাধ্যায় দাবী করেন, সোমবার মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে ’আকাদেমি পুরস্কার’ দেওয়ার বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি ।কারণ এতে পুরস্কারের গরিমা রক্ষিত হয় নি। তিনি মনে করেন, সাহিত্য সাধনার বিষয় । সেই সাহিত্য বিষয়ে কাউকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি কোনোভাবেই রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে পারে না ।।