এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঝাঁসি(উত্তরপ্রদেশ),১১ জুলাই : স্ত্রীকে লেখাপড়া শেখাতে দিনরাত এক করে ছুতার শ্রমিকের কাজ করে গেছেন যুবক । কিন্তু সরকারি চাকরি পেতেই স্বামীকে ছেড়ে চলে গেলেন তরুনী ৷ মর্মান্তিক এই প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে । এদিকে স্ত্রীর এই প্রতারণার উদভ্রান্তের মত পুলিশ প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রতারিত নীরজ বিশ্বকর্মা নামে ওই যুবক । কিন্তু এযাবৎ কোনো সুবিচার পাননি তিনি ।
নীরজ বিশ্বকর্মা ঝাঁসি শহরের কোতওয়ালির বাইরে বাবা কা আট্টায় থাকেন । নীরজের তিন ভাই আছে, যাদের মধ্যে সে সবার ছোট। পেশায় ছুতোর শ্রমিক নীরজের সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে ঝাঁসির সত্যম কলোনিতে বসবাসকারী রিচা সোনির পরিচয় হয় । ক্রমে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । প্রায় আড়াই বছর পর দুজনেই ওরছা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন এবং সুখে বসবাস শুরু করেন । সেই সময় রিচা তাকে জানায়, সে আরও লেখাপড়া করতে চায় । স্ত্রীকে লেখাপড়া শেখাতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করতে শুরু করেন নীরজ । স্ত্রী স্নাতক উত্তীর্ণ হয় । লিখপালের সরকারি হিসাবরক্ষক পদে চাকরিও পেয়ে যান তিনি ।
নীরজ বলেন, আমি ১৮ জানুয়ারী থেকে চিন্তিত, কারণ আমার স্ত্রী রিচা সোনি, যিনি এখন সরকারি হিসাবরক্ষক হয়েছেন,সেজন্য সে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে । যার কারণে পুলিশ প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। তিনি বলেন, রিচাকে শিক্ষিত করার জন্য আমি কাঠমিস্ত্রির কাজ করতাম, প্রতিদিন গড়ে ৪০০ টাকা আয় করতাম,আমার হাড়ভাঙা পরিশ্রমের টাকা নিয়ে সে যা খুশি করত । স্ত্রীকে লেখাপড়া করাতে অনেক সময় তাকে ঋণও নিতে হয়েছে । কিন্তু আজ সে বলছে যে আমরা নাকি বিয়ে করেনি । অথচ আমার কাছে বিয়ের ছবি এবং সার্টিফিকেট আছে ।’ তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন,’আজ আমি তাকে দিনরাত স্মরণ করি, রাতেও ঘুম আসে না।’
এদিকে বুধবার নীরজের স্ত্রী রিচা হিসাবরক্ষক পদে নিয়োগপত্র পেয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন । স্ত্রীকে বোঝাতে সেখানে ছোটেন নীরজ । কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরতে হয় তাকে । যদিও রিচা দাবি করেছেন,’আমি নীরজকে মোটেই বিয়ে করেনি ।’ একজন মহিলার এই প্রকার প্রতারণায় স্তম্ভিত এলাকার বাসিন্দারা ।।