আমিরুল ইসলাম,মঙ্গলকোট,২১ ডিসেম্বর : উপার্জনের নতুন দিশা দেখলো মঙ্গলকোট ব্লকের সিমূলিয়া-২ অঞ্চলের পালিশগ্রামের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা । গোষ্ঠীর হাতে এল মুড়ি ভাজা,মোমবাতি ও ধুপ তৈরির নতুন মেশিন । সোমবার উদ্বোধন হল ওই তিন কারখানার । উৎপাদনও শুরু হয়ে গেছে । গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।
পালিশগ্রামে মহিলাদের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে । গোষ্ঠীতে রয়েছেন ২০ জন মহিলা । গোষ্ঠীর মহিলা স্বপ্না লোহার,মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের পরিবারই আর্থিকভাবে খুবই দুর্বল । তাই উপার্জনের কোনও ব্যাবস্থা করে দেওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের ভূমি কর্মদক্ষ শ্যামাপ্রসন্ন লোহারের কাছে আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম । শেষ পর্যন্ত উনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন । এদিন আমাদের গোষ্ঠীকে একটি করে মুড়ি ভাজা,ধূপ তৈরি ও মোমবাতি তৈরির মেশিনের ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন উনি । এর জন্য ওনাকে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।’
জানা গেছে,বেশ কিছুদিন ধরে মঙ্গলকোট ব্লকে ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ চালাচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ এদিন পালিশগ্রামে এই যাত্রা বের হয় । উপস্থিত ছিলেন মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শান্ত সরকার, শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মদক্ষ বুদ্ধদেব ভারুই, মৎস্য কর্মদক্ষ পূরবী অধিকারী, ঝিলু-১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান স্বাধীন শেখ, এছাড়াও শিমুলিয়া-২ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত নেতৃত্ববৃন্দ । এদিন ওই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের হাত দিয়েই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তিনটি নতুন কারখানার উদ্বোধন হয় ।
তৃণমূল নেতা শ্যামা প্রসন্ন লোহার বলেন, ‘ ওই স্বনির্ভর গোঠীর তরফ থেকে আমার কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল যাতে উপার্জনের কোনও ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয় । তখন থেকেই আমরা পরিকল্পনা করি ওই গোষ্ঠীকে মুড়ি ভাজা,মোমবাতি তৈরি ও ধূপ তৈরির কারখানা করে দেওয়া হবে । এদিন গোষ্ঠীর হাতে ওই তিনটি মেশিন তুলে দেওয়া হয় । এদিন থেকে গোষ্ঠীর মহিলা উৎপাদন শুরু করে দিয়েছেন । রোজগারের নতুন দিশা পেয়ে খুব খুশি গোষ্ঠীর মহিলারা । এতগুলো পরিবার উপকৃত হওয়ায় আমাদেরও ভালো লাগছে ।’পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন,তিনটি কারখানার জন্য গোষ্ঠীকে উপযুক্ত ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে ।।
দেখুন ভিডিও :