এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১২ জুন : ‘হাইকোর্টে সোমবার মুভ করার পর রাজ্য সভাপতি এবং আমি হাওড়ায় পুড়িয়ে দেওয়া পার্টি অফিসে যাবো । প্রথমে ঝাঁটা দিয়ে জল দিয়ে নিজেরা পরিষ্কার করবো । জিহাদিদের সব চিহ্ন দু’দিন ধরে মুছে ফেলবো । গঙ্গাজল ছিটিয়ে ওদের পাপ থেকে মুক্ত করবো । যজ্ঞ হবে । পরে সনাতন রীতি মেনে আমাদের পার্টি অফিসের পুনঃনির্মাণ ও পুনঃবহাল করবো । আমাদের পার্টি অফিস আমাদের কাছে মন্দিরের মত ।’ রবিবার কলকাতার মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসে এই কথাই বললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ।
শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন,’মুখ্যমন্ত্রী তার তথাকথিত দুধেল গাইদের নিয়ন্ত্রণ করা তো দূরের কথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে নিয়িন্ত্রন করতে পারলেন না । সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় এসে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী একা কথা বলবেন কেন । এটা ধর্মীয় কারনে ঘটছে । আলেম-উলেমা-ইমামরা কথা বলবেন । মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার অধিকার নেই । মুখ্যমন্ত্রীর যদি সাহস থাকে তাহলে সিদ্দিকুল্লাকে বরখাস্ত করে দেখাক ।’
এদিন নিজের বাড়ি থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার রাধামণি মোড়ে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় আটকে দেয় পুলিশ । শুভেন্দু বলেন,’বর্বর সিপিএমের জমানাতেও বিরোধী দলনেতাকে এভাবে রাস্তায় ৩ ঘন্টার বেশি আটকে রেখে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি । অথচ আজ পিসিমনির নির্দেশে আমায় রাস্তার ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রাখলেন অ্যাডিশনাল এসপি মিস্টার হাসান । সমঝদার কো তো ইসারাহি কাফি হ্যায় ।’ তিনি বলেন,’আজ সুকান্ত মজুমদার ও আমার সঙ্গে যা করেছে পিসি আর ভাইপোর সঙ্গে আমরা তা করবো না । ভগবান করবে । আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাসী ।’
তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘হাত জোড় করে বলছে থামো,থামো, থামো । একি মুখ্যমন্ত্রী? লজ্জা লাগেনা ? আর যোগী আদিত্যনাথকে দেখুন দাঙ্গাবাজদের পিঠে আর পাছায় কেমন দিয়েছে । শুধু তাই নয়,ঝাড়খণ্ডে পুলিশ সরকারের কথা না শুনে দাঙ্গা মোকাবিলা করেছে । এই পরিস্থিতিতে এরাজ্য আইএস, আইপিএস দের ছেড়ে দেওয়া হোক । আর আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হোক । এই বিষয়গুলি রাজনীতির উর্ধে গিয়ে করতে হয় । কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী করতে পারলেন না ।’।