এইদিন ওয়েবডেস্ক,সালার(মূর্শিদাবাদ),২৬ সেপ্টেম্বর : ভাইপোর বউয়ের প্রেমে মজেছিলেন এক ব্যক্তি । শেষ পর্যন্ত স্ত্রী ও সন্তানদের ফেলে রীতিমতো পরিকল্পনা করে রাতের অন্ধকারে বউমাকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন তিনি । ইতিমধ্যে এই খবর ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূর্শিদাবাদ জেলার সালার থানার হামিদবাটির পিলখন্ডি গ্রামের ঘটনা । বউমার নাম সায়রা বিবি । তার কাকা শ্বশুর তথা প্রেমিক হলেন জার্মান শেখ ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,জার্মান শেখ বিবাহিত । তার বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী আশু বিবি ও দুই নাবালক মেয়ে । জার্মান সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করেন । কর্মসূত্রে তিনি বিদেশেই থাকেন । পাশাপাশি বাড়ি জার্মান শেখের দাদার । দাদার এক ছেলে ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন । জার্মানের ওই ভাইপোর স্ত্রী হলেন সায়রা বিবি । সায়রা বিবির এক পুত্রসন্তান রয়েছে ।
জার্মান শেখের আত্মীয়স্বজনরা জানিয়েছেন, জার্মানের সঙ্গে বিগত প্রায় ২ বছর ধরে সায়রা বিবির প্রেমের সম্পর্ক ছিল । বিদেশে থাকাকালীন দু’জনের নিয়মিত ফোনে যোগাযোগও হত । বিষয়টি উভয় পরিবারের লোকজন জানলেও কেউ এই প্রেমের সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করেনি । অভিযোগ যে পরিবারের প্রছন্ন মদত থাকায় ভাইপোর বউ নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করে ফেলেন জার্মান । এরপর গত সপ্তাহে একদিন হঠাৎ করে তিনি সৌদি আরব থেকে বাড়ি ফিরে আসেন । আর বাড়ি ফেরার ঠিক চারদিনের মাথায় গভীর রাতে ভাইপোর বউ নিয়ে পালিয়ে যান তিনি । সায়রা বিবি সঙ্গে করে তার পুত্র সন্তানকেও নিয়ে যায় ।
জার্মানের স্ত্রী আশু বিবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান,তার শ্বশুরবাড়ি ও সায়রা বিবির শ্বশুরবাড়ি ঘটনার কথা জানলেও চুপ করে ছিল । এমনকি সায়রার বাপের বাড়ির লোকজনও ঘটনার কথা জানতো বলে জানিয়েছেন তিনি । তিনি বলেন,’আমাকে মাসে মাসে মাত্র ৩,০০০ টাকা করে পাঠাতো । তাতেই অনেক কষ্টে দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে সংসার চালিয়েছি । এখন আমি কি করব ?’ তিনি তাঁর দুই নাবালক সন্তানসহ তিনজনের ভরনপোষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন ।
জানা যায়,বিষয়টি মিমাংসার জন্য হামিদবাটি পিলখন্ডি তৃণমূল কার্যালয়ে একটি সালিসি সভাও বসে । যদিও উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সেই সালিসি সভায় কোনো আসা সম্ভব মিমাংসা হয়নি । বিষয়টি নিয়ে কোনো তরফেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানা গেছে । এদিকে এদিন পর্যন্ত ওই প্রেমিক যুগলের কোনো হদিশ মেলেনি বলে খবর ।।