এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,০৯ ডিসেম্বর : চুড়ান্ত নৈরাজ্য চলছে বাংলাদেশে ৷ মহম্মদ ইউনূসের রাজত্বকালে বিশেষ করে মহিলাদের সম্ভ্রম বাঁচানোই দুষ্কর হয়ে পড়েছে ৷ এবারে বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে গানের আসরের কথা বলে এক কাওয়ালি মহিলা শিল্পীকে গানের আসরের অছিলায় নিয়ে এসে গনধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে । শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিলের মাঝখানে বাগানে এই ঘটনা ঘটে৷ নির্যাতিতা শিল্পি ৪ ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ৷ ওই ৪ নরপশু হল : দক্ষিণ তারাবুনিয়ার মহব্বত আলী মোল্লার কান্দির মহিজল হাওলাদারের ছেলে রশিদ হাওলাদার (৪৫), লিটন শেখ (৩৫) পিতা ইব্রাহিম শেখ, ইদ্রিস আলী (৪৪) পিতা কালাচান মাল, ও কালা সরকার (৩৩)।
নির্যাতিতা শিল্পি জানান,তিনি ঢাকার জুরাইনে থাকেন। বিভিন্ন কাওয়ালি গানের আসরে তিনি টাকার বিনিময়ে গান করেন। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দক্ষিণ তারাবুনিয়ার মহব্বত আলী মোল্লার কান্দির মহিজল হাওলাদারের ছেলে রশিদ হাওলাদার (৪৫) (রইশ্শা) তাকে ফোনে দক্ষিণ তারাবুনিয়ায় শুক্রবার রাতে গানের আসর আছে বলে অনুষ্ঠানের জন্য বায়না করে । রশিদ ফের বৃহস্পতিবার ফোন করে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং শুক্রবার সকালে ফোন করে ঠিকানা দেয় আসার জন্য।
সেই মত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি শরীয়তপুরে পৌছালে রশিদ ও তার সঙ্গীরা রাতে তাকে মূল রাস্তা থেকে বিলের মাঝখানে নির্জন বাগানে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি নির্যাতন চালায়৷ এই বিষয়ে দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন সদস্য মোতালেব মালের কাছে পরের দিন ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান৷ এরইমধ্যে এলাকায় ঘটনার কথা জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনাটি সংবাদকর্মীরা জানার পর পুলিশকে অবহিত করেন। পরে এসআই শফিকের নেতৃত্বে সখিপুর থানা পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে থানায় নিয়ে যান। থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ঘটনার কথা খুলে বলেন এবং চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনা সম্পর্কে মেম্বার আক্কাস আলী বেপারী বলেন, ‘আমি তেমন কিছু জানতাম না, তবে আজকে মানুষজন বলাবলি করছিল তখন আমি জানার চেষ্টা করি এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হই। এই রশিদ একাধিক অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এর আগেও গরু চুরি করে গণধোলাই খেয়েছে। আমি এর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।’ স্থানীয় লোকজন বলেন, ‘রশিদের অপকর্মের ঘটনা বলে শেষ করা যাবে না। এইবার ওর শাস্তি হোক।’
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সার্কেল এসপি সৌম্য শেখর পাল ঘটনার তদন্তে আসেন দক্ষিণ তারাবুনিয়ায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘ঘটনা পুরোপুরি সত্য। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহিলাকে শরীয়তপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা দ্রুত আসামিদের ধরার চেষ্টা করছি।’।

