প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৯ ডিসেম্বর : রেল পুলিশের তৎপরতায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের বাতানুকূল কামরা থেকে উদ্ধার হল দু’টি সাদা রঙের হিমালয়ান সজারু।রবিবার সন্ধ্যায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়ালে আরপিএফ ট্রেনেরে বাতানুকূল কামরায় তল্লাশি চালিয়ে সজারু দু’টিকে উদ্ধার করে। সজারু পাচারের অভিযোগে আরপিএফ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে।সোমবার ধৃতদের
পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। সাজারু গুলি কোথা থেকে ধরা হয়েছিল এবং সেগুলি কোথায় পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা রেল পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
বর্ধমান স্টেশন কর্তৃপক্ষের কথায় জানা গিয়েছে,
ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের বাতানুকুল কামরায় সজারু সহ পাচারকারীরা থাকার খবর রেলের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ( CIB) এর কাছে পৌছায় । সেই খবরের ভিত্তিতে সিআইবি ও বর্ধমান রেল পুলিশ রবিবার সন্ধ্যা থেকে বর্ধমান ষ্টেশনে ওত পেতে বসে থাকে ।ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্মে থামলে সিআইবি ও রেল পুলিশ ওই ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় তল্লাশি চালানো শুরু করলে একটি বড় নাইনলের ব্যাগে তাদের নজরে আসে। ব্যাগের চেন খুলতেই রেল পুলিশ সাদা রঙের দুটি বিরল প্রজাতির সজারু দেখতে পায় ।।সজারু দু’টি উদ্ধারের পরেই রেল পুলিশ কামরায় থাকা তিনজনকে পাকড়াও করে । সজারু গুলি উদ্ধারের পরেই রেল পুলিশ বর্ধমান বন বিভাগে খবর দেয় । বন দপ্তর থেকে একজন রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে বনকর্মীরা আরপিএফ পোস্টে পৌছে গিয়ে সজারু দু’টিকে নিয়ে রমনা বাগানে নিয়ে যান।
বন দপ্তরের রেঞ্জ অফিসার কাজল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘ধবধবে সাদা রঙের দুটি হিমালয়ান সজারু রেল পুলিশ এদিন উদ্ধার করে বন দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে। সজারু দু’টি শারীরিক ভাবে সুস্থ বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবুও আমাদের চিকিৎসক সজারু দু’টির চিকিৎসা করবেন।তারপর সজারু দুটিকেয় কোথায় রাখা হবে বা ছাড়া হবে সেই ব্যাপারে জেলার বিভাগীয় বিনাধিকারিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
রেল পুলিশের এক কর্তার কথায় জানা গিয়েছে,সজারু পাচারের অভিযোগে ধরা পড়া ব্যক্তিদের নাম গণেশ সাউ,পিন্টু কুমার ও তরুণ কুমার ঘোষ। বাতানুকুল কামরায় থাকা তরুণ রেলের চুক্তিভিত্তিক কর্মী।তার বাড়ি উত্তর ২৪পরগনার গোপালপুর। অন্যদিকে গণেশ সাউয়ের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি এবং পিন্টু কুমার দিল্লির ফাসিন্দা।জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে,ত্রিপুরার ধর্মানগর থেকে তারা এই সজারু দু’টিকে নিয়ে যাচ্ছিল।ব্যাগে ভরে রাখা সজারু দুটি গনেশ ও পিন্টু বাতানুকুল কামরায় থাকা রেলের চুক্তিভিত্তিক কর্মী তরুণ ঘোষের হেফাজতে রেখেছিল সজারু দু’টিকে শিয়ালদহ নিয়ে যাবার পরিকল্পনা ছিল ধৃত পাচারকাীদের। সেখানেই একলক্ষ টাকার বিনিময়ে মেয়াদ নামে এক ব্যক্তির কাছে সজারু দুটিকে বিক্রি করার পরিকল্পনা তাদের ছিল। বন্যপ্রাণী পাচার ও বিক্রির পরিকল্পনার অপরাধে তিনজনকেই রেল পুলিশ গ্রেপ্তার করে ।।