শ্যামসুন্দর ঘোষ,মন্তেশ্বর(পূর্ব বর্ধমান),২৮ মে : পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরের মাঠে ছিঁড়ে পড়ে থাকা সাবমার্সিবল পাম্পের বিদ্যুৎ লাইনের তারের সংস্পর্শে এসে মৃত্যু হল দুটি গাভির । মাঠে ঘাস খেতে যাওয়া ওই দুই গাভিকে রবিবারের সকালে মন্তেশ্বরের বরপুকুরের পাড়ে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পাওয়া যায় । খবর পেয়ে আসে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা । তারা তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ লাইনের মেরামতির কাজ শুরু করে । এদিকে এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দপ্তর ও সাবমার্সিবল পাম্পের মালিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । যে কোনো সময় মানুষের প্রাণহানী হতে পারতো বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।
জানা গেছে,গাভী দুটির মালিক মন্তেশ্বরের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা বিপদ বাগ নামে জনৈক এক জনমজুর । প্রতিদিনের মত এদিন সকাল ৯ টা নাগাদ গাভী দুটিকে ছেড়ে দেন বিপদ বাগের স্ত্রী । তারপর গরু দুটি চড়তে চড়তে মন্তেশ্বরের বরপুকুরের পাড়ে চলে যায় । বরপুকুরের পাড়েই রয়েছে বিদ্যুৎ লাইনের একটি ট্রান্সফর্মার । ওই ট্রান্সফর্মার থেকে মাঠে সেচের কাজের জন্য লাগানো একটি সাবমার্সিবল পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু শনিবার রাতে ঝড়জলের সময় সাবমার্সিবল পাম্পের সার্ভিস কেবলটি ছিঁড়ে জমির জলে পড়ে যাওয়ায় জমির জল বিদ্যুতের সংস্পর্শে চলে আসে । এদিন সকালে গাভি দুটি জমিতে ঘাস খাওয়ার জন্য নামতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ।
গরুর মালিক বিপদ বাগ বলেন,’কিছুদিন আগে ঋণ নিয়ে একটা দেশি ও একটা জার্সি গরু কিনেছিলাম । সম্প্রতি গরু দুটি শাবকের জন্ম দেয় । গরুর দুধ বিক্রি করে ঋণ শোধের পাশাপাশি আমার সংসারের অনেক সুরাহা হত । কিন্তু এখন আমি কিভাবে গরু কেনার জন্য নেওয়া ঋণ শোধ করবো জানিনা ।’ স্থানীয় পশু চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক দেবাশীষ মাঝি বলেন,’ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সেকারণে মৃত গাভি দুটির ময়নাতদন্ত করে এলাম । সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে ।’।