প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৬ আগষ্ট : রাজ্যের সাতটি আসনে উপ-নির্বাচন করানোর বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।তার কারণে বৃহস্পতিবার প্রকাশ্য জনসভা থেকে নির্বাচন কমিশনকে ’বিজেপির শাখা সংগঠন’ বলে অভিহিত করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা জয় দত্ত । নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে করা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী জয়া দত্তর এহেন মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে । এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব ।
আসন্ন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসকে সামনে রেখে এদিন পূর্ব বর্ধমানের কালনা-১ ব্লকের মেদগাছি বাজারে অনুষ্ঠিত হয় প্রস্তুতি সভা । জয়া দত্ত ছাড়াও সেই জনসভায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মোল্লা,
সংগঠনের জেলা সম্পাদক সাদ্দাম শেখ , ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তি চাল প্রমুখরা উপস্থিত থাকেন । জনসভায় ছাত্র ছাত্রীদের জনসমাগমও হয়েছিল নজরকাড়া ।
সেই জনসভার প্রধান বক্তা জয়া দত্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন। তিনি বলেন , নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ৬ মাসের মধ্যে উপ- নির্বাচন করানোর । নির্বাচন কমিশন নির্বাচন না করিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা নিতে পারে না । বিজেপির শাখা সংগঠন হিসাবেও নির্বাচন কমিশন কাজ করতে পারে না। জয়া দত্ত এদিন দাবি করেন,বিজেপি চাইছে এখন যাতে কোনভাবে উপ-নির্বাচন না হয় ।আর বিজেপি চাইছে না বলে উপ-নির্বাচন হবে না এটা হতে পারেনা । জয়া দত্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন ,তৃণমূল কংগ্রেস এইসব মেনে নেবে না । তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তুলবে । তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেত্রী জয়া দত্ত একই সঙ্গে বলেন , তৃতীয় বারের জন্য বাংলা জয়ের পর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ ভারতের মসনদ ।’২০২৪ শে দিল্লীর মসনদে বাংলার বাঘিনীকে চাই ’,এই দাবি এখন থেকেই উঠে গেছে । কারণ ২০২৪ শের ভোট কে সামনে রেখে মোদিজীর দিকে চোখে চোখ রেখে একমাত্র যিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেন তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ত্রিপুরাতেও ঘাসফুল ফুটবে বলে জয়া দত্ত এদিন জনসভা থেকে ঘোষনা করেন ।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির শাখা সংগঠন বলে অভিহিত করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপির কাটোয়া সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন , ‘তৃণমূল কংগ্রেস ভারতের সংবিধান ,সাংবিধানিক ব্যবস্থা ,গণতন্ত্র এইসব কিছুই মানে না ।পুলিশকে দলদাসে পরিণত করে এই রাজ্যে বিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার, মত প্রকাশের আধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এখন দেশের নির্বাচন কমিশন কে নিয়েও তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা অপ্রীতিকর মন্তব্য করছেন ।’তৃণমূলের এটাই কালচার বলে কৃষ্ণ ঘোষ মন্তব্য করেছেন।।