প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,৩১ আগস্ট : প্রিন্সিপাল যুক্তি ধোপে টিকলো না। কলেজ ক্যাম্পাসে বসে গাঁজা সেবনের দায়ে শেষপর্যন্ত পদ থেকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতাকে ।গুনধর ওই তাঁর নাম হিতেশ শেঠ । তিনি পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুর ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে টিএমসিপি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রেস ব্রিফং দিয়ে হিতেশ শেঠকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন।হিতেশ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারা পর্যন্ত এই সাসপেনশন জারি থাকবে বলেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি জানিয়ে দিয়ছেন। এই ঘোষণার কথা সামনে আসার পরেই এসএফআই নেতৃত্ব দাবি করেছে,তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার কীর্তি তাহলে সত্যই প্রমাণ হল ।
হাটগোবিন্দপুর কলেজ ক্যাম্পাসে বসে হিতেশ শেঠের গাঁজা সেবনের ভিডিও বুধবার রাত থেকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হিতেশ কলেজ ক্যাম্পাসে বসে গাঁজা সেবন করছেন বলে ভিডিও-তে দাবী করা হয় । এ নিয়ে বৃহস্পতিবার
এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরীর দাবী করেন, ওই ছেলেটিই টিএমসিপি হাটগোবিন্দপুর কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক । সে ওই কলেজেরই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
আর এরপর হিতেশ শেঠের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার দাবী,’এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। তাঁর বদনাম করার জন্য এসএফআই এসব এডিট করা বিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে ।’ হিতেশের পাশে দাঁড়িয়ে একই দাবী করেন জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি স্বরাজ ঘোষের ।তিনিও বলেন, ‘এসব বিরোধীরা করছে। এসব সত্য নয় । ওই ছবি ফেক ছবি ।’
আর কলেজের প্রিন্সিপাল অমল কুমার ঘোষ তো আরো একধাপ উঠে জানান,’কলেজের বদনাম করার জন্য এই ছবি ছাড়া হয়েছে। আমি সারাদিনে দু’বার করে কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুরে দেখি।এটা আমাদের কলেজের ছবি নয়।কিছু বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন ছাত্র এই সব করেছে বলেই তাঁর মনে হচ্ছে ।’ কিন্তু ঘটনা ধাপাচাপা দেওয়ায় এত কৌশল এঁটেও লাভের লাভ কিছু হয় না। শেষ পর্যন্ত রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বের শাস্তির কোপেই পড়তে হল হিতেশ শেঠ কে। এসএফআই নেতৃত্ব দাবি করেছে,এই ঘটনাই তৃণমূল ছাত্রপরিষদের আসল স্বরুপ প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে।।