এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,০৯ ডিসেম্বর : উত্তর প্রদেশে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযান শুরু করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজেই। মুখ্যমন্ত্রী যোগী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে রাজ্যের জনসাধারণের সম্পদ কেবল নাগরিকদের জন্য, অনুপ্রবেশকারীদের জন্য নয় । সোমবার (৮ নভেম্বর, ২০২৫) “যোগী কি পাতী” শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক্স-এ লিখেছেন, “উত্তর প্রদেশের নিরাপত্তা, সামাজিক ভারসাম্য এবং শক্তিশালী আইন-শৃঙ্খলা আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর এবং সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
“যোগী কি পাতী”-তে মুখ্যমন্ত্রী যোগী লিখেছেন যে সুপ্রিম কোর্টও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য লাল গালিচা বিছিয়ে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেছেন যে উত্তর প্রদেশের নিরাপত্তা, সামাজিক ভারসাম্য এবং শক্তিশালী আইন-শৃঙ্খলা শীর্ষ অগ্রাধিকার, এবং এই দিকে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে সমস্ত পৌর সংস্থা এবং জেলাগুলিকে সন্দেহভাজন বিদেশী নাগরিকদের চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে আটক কেন্দ্র(ডিটেনশন ক্যাম্প) স্থাপন এবং যাচাই অভিযান জোরদার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী একটি জোরালো বার্তা দিয়েছেন যে প্রকল্পের সুবিধা যোগ্যদের কাছে পৌঁছাবে এবং অনুপ্রবেশকারীরা কোনও মূল্যে এই সমস্ত সুবিধার অংশ হবে না। তিনি বলেন যে জনসাধারণের সম্পদের উপর অননুমোদিত বোঝা অপসারণ করা অপরিহার্য, এবং এই উদ্দেশ্যে একটি বিশাল নথি যাচাই অভিযান চলছে। মুখ্যমন্ত্রী নাগরিকদের সহযোগিতার জন্যও আবেদন করেছেন, যে কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ করার আগে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জনগণকে সতর্কতা অবলম্বন করার এবং সন্দেহজনক ব্যক্তিদের প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন।
যোগীর মতে, রাজ্যের নিরাপত্তা একটি সম্মিলিত দায়িত্ব, কারণ নিরাপত্তা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ভিত্তি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে আটক কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে এবং কঠোর আইনি ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। এই পুরো অভিযানের পরে, এটা স্পষ্ট যে উত্তরপ্রদেশে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে এখন কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।।

