এইদিন ওয়েবডেস্ক ,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),৩০ : করোনা অতিমারীর কারনে দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ স্কুল । সবেতন ছুটিতে রয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষিকারা । এদিকে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকাই এই ‘সবেতন ছুটি’কে মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না । কারন কাজ না করে মাসের শেষে বেতন নিতে তাঁদের বিবেকে বাধছে । তাই ‘বিবেক যন্ত্রনা’ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ব্যক্তিগত স্তরে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে রেখেছেন । এবার ‘বিবেকের তাড়নায়’ করোনা যুদ্ধে সামিল হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের বাসিন্দা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক কৌশিক দে । বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমা শাসকের কাছে তিনি লিখিত আবেদনে জানান, স্কুলের জন্য চার পাঁচদিন সময় বাদ দিয়ে মাসের বাকি দিনগুলি তিনি করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে কাটাতে চান । কাটোয়ার মহকুমাশাসক প্রশান্ত রাজ শুক্লা বলেন, ‘ওই শিক্ষকের আবেদন পেয়েছি । এনিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।’
কাটোয়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার কাছারিপাড়ায় বাড়ি কৌশিক দের । তিনি চুরপুনি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন । তাঁর বাড়িতে রয়েছেন বিধবা মা, স্ত্রী ও এক সন্তান । কৌশিকবাবু ‘নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন’ এর কাটোয়া পশ্চিম চক্রের সম্পাদক পদে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গতবছর ১৫ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল ।শুধুমাত্র মিড ডে মিল বিলির জন্য মাসের চার পাঁচদিন স্কুলে যেতে হচ্ছে । বাকি দিনগুলো বাড়িতেই কাটছে । কবে স্কুল চালু হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই । তাই এই অবস্থায় কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের করোনা সচেতনামূলক কাজ বা করোনা রোগীর সহায়তামূলক কাজকর্মে আমি যুক্ত থাকতে চাই । প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি যাতে মাসের চার পাঁচদিন বাদে বাকি দিনগুলো আমাকে কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ দেওয়া হয় ।’ তাঁর দাবি তাঁদের শিক্ষক সংগঠনের ১৫- ২০ জন শিক্ষক রয়েছেন যারা এই স্বেচ্ছাশ্রম দিতে ইচ্ছুক । কাটোয়ার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক কৌশিক দের এই প্রকার মানসিকিতার প্রশংসা করেছেন এলাকার বাসিন্দারা ।।