এইদিন ওয়েবডেস্ক,রায়পুর(ছত্রিশগড়),২১ জুলাই : একের পর এক ৭ শিশুর মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল ছত্রিশগড়ের রায়পুর জেলা হাসপাতালে । চিকিৎসায় গাফেলতির অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার রাত্রি ৮ টা থেকে হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন মৃত শিশুদের পরিবারের লোকজন । অভিযোগ, শিশুদের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাদের বিনা অক্সিজেনেই অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছিল । যার ফলে ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে । যদিও চিকিৎসায় গাফেলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
ছত্রিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের জেলা হাসপাতালে মঙ্গলবার রাত্রি ৮ টা নাগাদ এক সাথে ৩ নবজাতকের মৃত্যু হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে । মৃত এক শিশুর আত্মীয় ঘনশ্যাম সিনহার অভিযোগ, ‘আমার ছেলের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের এক চিকিৎসক ছেলেকে তাঁর ব্যক্তিগত নার্সিংহোমে ভর্তি করার পরামর্শ দেন । আমার ছেলের তখন আশঙ্কাজনক অবস্থা । অক্সিজেনের দরকার ছিল । ছেলেকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য আমি বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছিলাম । কিন্তু অক্সিজেন দেওয়া হয়নি । শেষে আমার ছেলে মারা যায় ।’
জানা গেছে,ঘনশ্যাম সিনহার ছেলের মৃত্যুর পরেই আরও দুই নবজাতকের মৃত্যু হয় । হাসপাতালের এক রোগীর আত্মীয়ের দাবি,৩ শিশু নয় ওইদিন হাসপাতালে মোট ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে । তাঁরা একের পর এক শিশুর মৃতদেহ নিয়ে যেতে দেখেছেন । আর এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত আগুনে ঘৃতাহুতি হয় । মৃত শিশুদের পরিবারের লোকজন চিকিৎসায় গাফেলতির অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন । খবর পেয়ে পন্ড্রি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । শেষে পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মীরা মৃত শিশুদের পরিবারের লোকজনদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে কোনও রকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন । যদিও শিশুর মৃত্যুতে গাফেলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । তাঁদের দাবি, জন্ম থেকে শারিরীক সমস্যার কারনেই ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে ।
তবে কর্তৃপক্ষ চিকিৎসায় গাফেলতির অভিযোগ অস্বীকার করলেও হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রায়পুর জেলার বেমেতরার বাসিন্দা শ্যাম কুমার নামে এক রোগীর আত্মীয় । তিনি জানান,গত ১৫ জুলাই তাঁর শিশুসন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে রায়পুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এনেছিলেন । তাঁর সন্তানকে পরীক্ষা করার পর অনেক রকম রোগের ফিরিস্তি শুনিয়ে দেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা । প্রথম দিন বলা হয় কিডনি খারাপ । এরপর বলা হয় ছেলের হৃদযন্ত্রে ফুটো আছে । শেষে বলে দেওয়া হয় তাঁর ছেলের আর ১০ মিনিট আয়ূ আছে । এযাবৎ ছেলের স্বাস্থ্যের সঠিক খবর জানতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তিনি ।।