এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরাখণ্ড,১৫ সেপ্টেম্বর : উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগরের খাতিমা এলাকার একলব্য আদর্শ আবাসিক স্কুলের পড়ুয়াদের পোশাকের মাপ নিতে গিয়ে অন্তত ১০০ জন ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে দুই দর্জির বিরুদ্ধে । ছাত্রীরা বিষয়টি তাদের অবিভাবকদের জানালে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । গত সোমবার মোহাম্মদ উমর(Mohammad Umar) ও মোহাম্মদ শাকিল (Mohammad Shakil) নামে ওই দুই দর্জি পোশাকের মাপ নিতে এসে যথারীতি কুকর্ম শুরু করলে ক্ষিপ্ত জনতা ও পড়ুয়ারা মিলে তাদের ব্যাপক জুতোপেটা করে । পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই দুই দর্জিকে গ্রেফতার করে । ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৫৪ ধারা এবং পকসো ( POCSO) আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ । ধৃত দুই যুবক সহদর ভাই বলে জানা গেছে । এই ঘটনায় বিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধেও নির্যাতিতা ছাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । অভিভাবকদের অভিযোগ, দর্জি মোহাম্মদ উমর ও মোহাম্মদ শাকিল মাপ নেওয়ার নামে তাদের মেয়েদের যখন শ্লীলতাহানি করত তখন সেখানে উপস্থিত থাকতো বিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী অশোক আর্য, মমতা খোলিয়া ও চন্দ্রশেখর । কিন্তু তারা সব কিছু দেখেও নীরব থাকত এবং ছাত্রীদের সম্ভ্রম বাঁচানোর পরিবর্তে তারা নিজেদের মধ্যে ঠাট্টা মসকরা করত বলে অভিযোগ। এই তিন কর্মচারীর চুক্তি বাতিল করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ।
জানা গেছে,একলব্য আদর্শ আবাসিক স্কুলটি উধম সিং নগর জেলার খাতিমায় অবস্থিত । যেখানে ১২০ জন মেয়ে সহ তফসিলি উপজাতি (এসটি) সম্প্রদায়ের ২৫০ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে । স্কুল প্রশাসন পড়ুয়াদে ইউনিফর্ম তৈরির চুক্তি দিয়েছিল স্থানীয় সিদ্ধার্থ গার্মেন্ট নামে একটি পোশাক তৈরির দোকানকে । ওই দোকানে কাজ করত মোহাম্মদ উমর ও মোহাম্মদ শাকিল । ওই দুই ভাইই মূলত ছাত্রছাত্রীদের পোশাকের মাপ নিতে স্কুলে যেত ।
এই বিষয়ে অভিভাবক সমিতির সভাপতি রাজবীর সিং রানা বলেন, ছাত্রীরা এই বিষয়ে অভিযোগ করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিত । থানায় দায়ের করা এফআইআর-এ বলা হয়েছে যে অশোক আর্য মেয়েদের বলেছিলেন যে তাদের সাথে অশালীন কাজ হলেও কিছুই হবে না। পুলিশ জানিয়েছে যে তিনজন কর্মচারীই স্কুলের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী, ঘটনার পর যাদের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এফআইআর-এ আরও বলা হয়েছে যে স্কুলে এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে ।
খাতিমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বীর সিং বলেছেন যে সোমবার অভিভাবক সমিতির সভাপতি রাজবীর সিং রানার অভিযোগের ভিত্তিতে, দুই দর্জির (শাকিল এবং মহম্মদ উমর) বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩৫৪ ধারা (একজন মহিলার শালীনতার অবমাননা) এবং পকসো আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ।।