এইদিন ওয়েবডেস্ক, ২৬ মে: ‘যশ’ আতঙ্কে গোটা রাজ্যবাসী থেকে পড়শি রাজ্যের বাসিন্দারাও। এই সুপার সাইক্লোনের কভারেজ দিতে গিয়ে জীবনমরন পন করে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের। বিভিন্ন বৈদ্যুতিন মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তাদের প্রতিনিধিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র সৈকতের ধারে তীব্র জলচ্ছাসের মুখে দাড়িয়ে সমুদ্রের ভয়াল রূপের ছবি তুলে ধরছেন।আর যশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার আগে থেকেই পুরো পরিস্থিতির আপডেট ঘরে বসে পেয়ে যাচ্ছেন দর্শকরা। সাংবাদিকদের এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজের কেউ বাহবা দিচ্ছেন।কেউ এইভাবে জীবনের ঝুঁকি নেওয়ার সমালোচনাও করছেন। বিপর্যয়ের খবরা খবরের মাঝেই সাংবাদিকদের প্রাণ হাতে করে কাজ করা নিয়ে সোসাল মিডিয়ায় চলছে জোর বিতর্ক।
এরই মধ্যে এক বাংলা বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সম্প্রচারিত একটি ফুটেজ ট্রোল হচ্ছে সোসাল মিডিয়ায়।যেখানে দেখানো হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের দুই কর্মী সাঁতার কাটছেন জলের মধ্যে।আর ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি বুম হাতে তাদের পাশ থেকেই মতামত নিচ্ছেন। ভিডিওটি দেখার পরেই কার্যত ঠাট্টা বিদ্রুপ শুরু করেছেন নেটনাগরিকরা।সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ‘যেখানে জনৈক সাংবাদিক জলের ওপরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে খবর সংগ্রহ করছেন।স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সেখানে হাঁটু সমান জল রয়েছে।তার পাশেই তাহলে ওভাবে সাঁতার কাটতে হচ্ছে কেন?’
বস্তুত এই ঘটনাকে সাজানো বলেই মন্তব্য করে সোসাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন অনেকেই।বৈদ্যুতিন মাধ্যমের ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
তৃণমূল কংগ্রেসের মূখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য্য ওই ভিডিওটি তার ওয়ালে শেয়ার করে লিখেছেন,”পায়ের পাতা অবধি জল। সাংবাদিক দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু ওরা সাঁতার কাটছেন! আমাদের এলাকায় আগে জল জমলে আমরা এভাবে খেলা করতাম। আমাদের ভাষায়, “জলে হামাগুড়ি”..
সোসাল মিডিয়ায় গেরুয়াশিবিরের পরিচিত মুখ সব্যসাচী ভট্টাচার্য্য একই ভিডিও সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করে মজা করে লিখেছেন,” এক হাঁটু জলে কিভাবে সাঁতার কাটতে হয় শিখে নিন।”
যশ ল্যান্ডফল করার আগেই তীব্র জলোচ্ছ্বাস দেখা যায় দীঘার সমুদ্রে। সমুদ্রের জল ছাপিয়ে প্লাবিত করে দেয় রাস্তাঘাট। এলাকা পুরো জলমগ্ন হয়ে পড়ে।এদিন সকাল থেকেই দেখা যায় বিভিন্ন বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তার ছবি বারংবার তুলে ধরা হচ্ছে।সেরকমই ওই বৈদ্যুতিন মাধ্যমের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে থেকে দীঘার সড়কপথের ও তার আশপাশের জনবসতির বর্তমান পরিস্থিতির ছবি দেখাতে গিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দুই প্রতিনিধির সাঁতার কাটার দৃশ্য তুলে ধরেন। তাদের মতামতও শোনান। কিন্তু অল্প জলে গা ডুবিয়ে ‘সাঁতার কাটার’ দৃশ্যকে অতিরঞ্জিত বলেই মন্তব্য করছেন নেট নাগরিকরা। তার ফলেই সোসাল মিডিয়ায় এখন ট্রোলের শিকার ভিডিওটি ।।