এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৬ আগস্ট : বাংলাদেশের কোটা বিরোধী আন্দোলন এখন সাম্প্রদায়িক হিংসায় পরিনত হয়েছে । বাংলাদেশের উগ্র ইসলামি সংগঠন জামাত-এ-ইসলামির জঙ্গিদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা । সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভবিষ্যৎবাণী করেন যে ‘বাংলাদেশে হিন্দু কোতল চলছে এবং এক কোটি হিন্দু শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা প্রস্তুত থাকুন’ । কিন্তু রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের ঘটনায় ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করলেও হিন্দুদের উপর হামলার কোনো নিন্দা করেননি৷ উলটে তিনি রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিজেপি এবং রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বাংলাদেশের এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে নিষেধ করেছেন যাতে উত্তেজনা ছড়ায় ।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকায় রাজ্য বিজেপির তরফে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । তবে সোমবার বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব আনায় মনতা ব্যানার্জিকে কার্যত তুলোধুনো করেছে রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতানেত্রী- অগ্নিমিত্রা পাল ও সুকান্ত মজুমদার । এই ইস্যুতে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন,’মমতা ব্যানার্জী তার সরকারের দুর্নীতি,অরাজকতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি থেকে নজর ঘোরাতে সর্বদা তোষণের রাজনীতি করে এসেছে।বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব আনা আসলে সময় নষ্ট।আমরা কখনই বাংলা ভাগের পক্ষে নয়।তৃণমূল সরকার বিএসএফকে জমি দেয় না রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ আটকানোর জন্য!আসল উদ্দেশ্যে হল বাংলায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে জনসংখ্যার বিন্যাসের পরিবর্তন।ওবিসি সংরক্ষণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়েছে মমতার সরকার,কারণ ওবিসি কোটায় এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে জায়গা করে দিয়েছে এই সরকার।ধিক্কার।মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ,অবিলম্বে তোষণের রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়নের কথা বলুন।’
পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে মমতা ব্যানার্জির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে ও পরের মন্তব্যের একটি টিভি চ্যানেলের ক্লিপিং শেয়ার করে নিজের ফেসবুক পেজে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘ক্রোনোলজি মিলিয়ে নিন। অতীতে বাম আমলে পশ্চিমবঙ্গে ‘অনুপ্রবেশ’ ঠেকাতে যাঁকে সংসদে খড়গহস্ত হতে দেখা যেত, অনুপ্রবেশের অজস্র উদাহরণ থাকলেও আজ তিনিই নাকি বাংলার অনুপ্রবেশ মানতে পারেন না! বিরোধী নেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আকস্মিক এমন মতপার্থক্যের কারণ কি ? আসলে বামেদের কায়দায় রাজনৈতিক ফায়দা লাভের পাটিগণিতটা খুব ভালোভাবে রপ্ত করে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি বুঝে নিয়েছেন ক্ষমতায় টিকে থাকতে গেলে রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সংরক্ষণ দেওয়াটা কতটা ঠিক জরুরি। আর আজ তাই গোটা রাজ্যের সরকার শেখ শাহাজানদের পাশে নির্লজ্জের মতো দাঁড়াতে পারে। সীমা সুরক্ষা বাহিনীর নজরদারির জন্য আউটপোস্ট তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটাতে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গেও সংঘাতে যেতে পারে। ধিক্কার ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী !’