এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৯ এপ্রিল : অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নার্সিংহোমে ভর্তি না করে হাসপাতালে করায় ঘুঁসি মেরে শাশুড়ির নাক ফাটালো জামাই । ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে । জামাই রামিজ শেখের ঘুঁষিতে নাক ফেটে রক্তারক্তি হয়ে যায় শাশুড়ি ফতেমা বিবি(৫০)র । হাসপাতালে ডিউটিরত পুলিশকর্মীরা এসে তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে । যদিও এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাননি ওই মহিলা । রামিজের কথায়,’নার্সিংহোমে ভর্তি করলে আমার ছেলে অসুস্থ হত না । তাই অসুস্থতার কারনে দু’দিন ধরে হাসপাতালে এসে ছেলের মুখ দেখতে না পেয়েই রাগে আমি শাশুড়ির গায়ে হাত তুলে ফেলেছি ।’
জানা গেছে,ফতেমা বিবির দুই ছেলে ও তিন মেয়ে । সকলেই বিবাহিত। ছোট মেয়ে আকরুফার সঙ্গে বছর তিনেক আগে কেতুগ্রামের খাজি গ্রামের বাসিন্দা রামিজ শেখের বিয়ে হয়। রামিজ চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন । দিনপাঁচেক আগে অন্তঃসত্ত্বা আকরুফাকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । ওদিন একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন আকরুফা। কিন্তু নবজাতকের শারিরীক অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালের এনএনসিইউ বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয় । মেয়েকে ভর্তির দিন থেকে টানা হাসপাতালেই রয়েছেন ফতেমা বিবি৷ এদিকে প্রথম পসন্তান হওয়ার খবর পেয়েই চেন্নাই থেকে থেকে বাড়ি ফিরে আসে রামিজ শেখ । ছেলের মুখ দেখার জন্য দু’দিন ধরে হাসপাতালে এসে ঘুরে যাচ্ছিল সে । কিন্তু হাসপাতালের এনএনসিইউ বিভাগে রোগীর পরিজনদের ঢোকার অনুমতি নেই।
ফতেমা বিবির কথায়,’দুদিন অপেক্ষা করেও সন্তানের মুখ দেখতে না পাওয়ায় জামাই খুব রেগে গিয়েছিল । তার কথায়, নার্সিংহোমে ভর্তি করালে তার ছেলে অসুস্থ হত না এবং টাকা খরচের ভয়েই নাকি আমি মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি । এনিয়ে আমার সঙ্গে জামাইয়ের বচসা হয় । আর তার মাঝেই আমার মুখে ঘুঁষি মেরে দেয় জামাই ।’ জানা গেছে,রামিজ তার শাশুড়ির মুখ লক্ষ্য করে সজোরে একটা ঘুঁষি চালিয়ে দিলে ফতেমা বিবির নাক ফেটে রক্তপাত শুরু হয় । তিনি দু’হাতে নাক চেপে ধরে সেখানেই বসে পড়েন । পরে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ।।