এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),০১ ফেব্রুয়ারী : স্কুল খোলার অনেক আগে সকলের নজর এড়িয়ে পায়খানা করে স্কুলের গেটের তালায় লাগিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় কিছু ব্যক্তি । মনুষ্য মলযুক্ত তালা খুলতে কেউ রাজি না হওয়ায় অবশেষে স্কুলে ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন প্রধান শিক্ষক । আজ শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের লক্ষীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা । তবে স্কুলে উৎপাতের ঘটনা এই প্রথম নয় বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ । এর আগেও স্কুল চত্বরে লুকিয়ে মলত্যাগ করে পালিয়ে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি । আজকের এই ঘটনার পর স্থানীয়রা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন যে সরস্বতী পুজোর ছুটির পর ওই তালা পরিষ্কার করে স্কুল খোলা হবে। প্রধান শিক্ষক সমগ্র ঘটনা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানিয়েছেন বলে জানা গেছে ।
কিন্তু কেন এই উৎপাত ?
বলা হচ্ছে যে এতদিন স্কুলের শৌচারের দরজা খোলা রাখা হত । স্থানীয় কিছু ব্যক্তি নিজের ইচ্ছামত মলত্যাগ করে পালিয়ে যেত । পায়খানার প্যানে পর্যাপ্ত জল পর্যন্ত ঢালত না তারা৷ ফলে চরম দুষণ ছড়াত এবং বিপাকে পড়তে হত পড়ুয়াদের । তাই শৌচালায়গুলিতে দিন চারেক ধরে তালা লাগিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেন প্রধান শিক্ষক সায়ন সাহা । সেই আক্রোশেই ওই ব্যক্তিরা স্কুল চত্বরে যত্রতত্র মলত্যাগ এবং গেটের তালায় নিজেদের পায়খানা লাগিয়ে উৎপাত শুরু করেছে ।
জানা গেছে,আজ শনিবার নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলের গেটের সামনে জড়ো হয় পড়ুয়ারা । কিছুক্ষণের মধ্যেই শিক্ষক চলে আসেন । কিন্তু তিনি তালা খুলতে গিয়ে দেখেন মানুষের কাঁচা পায়খানা আষ্টেপৃষ্টে বোলানো রয়েছে তালায় । এমনকি গেটের ছিটিকিনিতেও পায়খানার প্রলেপ লাগানো । এই দৃশ্য দেখে তিনি ঘেন্নায় দূরে সরে যান । এদিকে ঘটনার কথা চাওড় হতেই বেশ কিছু লোকজন জড়ো হয়ে যায় । শিক্ষক তাদের জল ঢেলে নোংরা পরিষ্কার করে তালা খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান । কিন্তু কেউই রাজি হননি । শেষ পর্যন্ত আজ স্কুলে ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয় ।
জানা গেছে,মঙ্গলকোটের লক্ষীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রী রয়েছে ১৮০ জন এবং চারজন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন । স্কুলটি সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা থাকলেও প্রাচীর টপকে ভিতরে ঢুকে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি মলত্যাগ করে দেয় বলে অভিযোগ স্কুলের মিড ডে মিল রাঁধুনী হাবিবা বিবি, কোকিলা খাতুনদের । একারনে তারা শৌচাগারে তালা লাগানোর জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন । সেই মত প্রধান শিক্ষক শৌচাগারে তালা লাগানোর ব্যবস্থা করেছিলেন । তারপরেই উপদ্রপের মাত্রা বেড়ে গেছে । এনিয়ে দু’একজন ব্যক্তিকে সন্দেহ করছে স্থানীয় বাসিন্দারা ।।