এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,১৯ এপ্রিল : নিজের আসল ধর্ম পরিচয় গোপন রেখে রাজনীতি করার অসংখ্য নজির রয়েছে ভারতে । এই বিষয়ে যে পরিবারটিকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয় সেটি হল গান্ধী-নেহেরু পরিবার ৷ কংগ্রেসের নেতারা রাহুল গান্ধীকে পৈতেধারী ব্রাহ্মণ ঘোষণা করে মানুষকে অনেক খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ফিরোজ খান-ইন্দিরার নাতিকে কিছুতেই হিন্দু হিসাবে মেনে নিতে পারছে না দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । এই বিতর্কে নবতম সংযোজন হলেন মহারাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির নেতা শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে । তার বিরুদ্ধে খ্রিস্টান হয়েও হিন্দুদের ধোঁকা দিতে তিনি নিজের ধর্ম পরিচয় গোপন করে গেছেন । ৫৬ বছর বয়সী মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে আদপে একজন ক্রিপ্টো খ্রিস্টান বলে দাবি করেছেন জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং নামে একজন এক্স ব্যবহারকারী । তিনি সুপ্রিয়ার পুরো নাম জানিয়েছেন “সুপ্রিয়া স্টিভেন সুলে” বলে ।
জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং এক্স-এ লিখেছেন,সুপ্রিয়া সুলেও একজন ক্রিপ্টো খ্রিস্টান হিসেবে প্রমাণিত । তার পুরো নাম সুপ্রিয়া স্টিভেন সুলে। যখন তার শাশুড়িকে খ্রিস্টীয় রীতি অনুসারে সমাহিত করা হচ্ছিল এবং গির্জায় প্রার্থনা করা হচ্ছিল তখন লোকেরা এটি সম্পর্কে জানতে পারে। কোন ধর্মই ভুল নয় কিন্তু নিজের ধর্ম গোপন করা ভুল।’ তিনি আরও লিখেছেন,
‘এই সেই দেশ যেখানে একজন ক্যাথলিক খ্রিস্টান এবং অর্ধেক পার্সি নিজেকে একজন পৈতেধারী ব্রাহ্মণ বলে ঘোষণা করেন । এই সেই দেশ যেখানে কমিউনিস্ট নেতা ড্যানিয়েল রাজা নিজের নাম শুধু ডি রাজা হিসেবে লেখেন । এই সেই দেশ যেখানে কংগ্রেস নেত্রী শোভা থমাস ওজা নিজের নাম শোভা ওঝা লেখেন। এটি তখনই জানা যায় যখন তার শাশুড়িকেও খ্রিস্টান কবরস্থানে সমাহিত করা হয় এবং গির্জার মধ্যে প্রার্থনা করা হয়।’
এদিকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে৷ একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাদের পূর্বপুরুষরা হিন্দু ছিলেন, তারপর এই লোকেরা খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে ক্রিপ্টো খ্রিস্টান হয়ে ওঠে এবং হিন্দুদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য, তারা এখনও পর্যন্ত হিন্দু নাম ধারণ করে এবং ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য সারা জীবন হিন্দুদের ধোঁকা দেয়। তুমি জাহান্নামেও জায়গা পাবে না ।’
কপিল কুমার জেমিনি লিখেছেন,’সোনিয়া গান্ধী সারা দেশে একজনও হিন্দু খুঁজে পাননি যার সাথে তার মেয়ের বিয়ে দেওয়া হবে, তিনি একমাত্র রবার্ট ভাদ্রাকে খুঁজে পান, একইভাবে তিনি তার ব্যক্তিগত সচিব জর্জ ভিনসেন্টকে খুঁজে পান। সোনিয়া এবং পিভি নরসিমহা রাওয়ের মধ্যে দূরত্বের কারণ কী হয়ে দাঁড়িয়েছিল.. তারপর তারা বলে যে আমরা পৈতেধারী ব্রাহ্মণ।’
শ্রীগনেশ লিখেছেন,’তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পাঞ্জাব এবং এখন মহারাষ্ট্রে আর কতগুলো এমন লুকানো আছে? দেশকে আর কত বোকা বানাবে?’