এইদিন ওয়েবডেস্ক,গাজা,১১ আগস্ট : কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামি স্টেটের কায়দায় গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ব্যাপক নাশকতা চালানোর পরেও ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস বিশ্বের মুসলিমদের নজরে স্বাধীনতা সংগ্রামী । বিশেষ করে ভারতের মুসলিমরা হামাসকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বললেই চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে । ভারতের বামপন্থী, কংগ্রেস, বলিউড ইন্ডাস্ট্রি ও কথিত সেকুলাররাও কম যায় না । গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের পর বামপন্থীরা তো রীতিমতো মিছিল পর্যন্ত করেছিল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে । বলিউড ইন্ডাস্ট্রির তথাকথিত মানবতাবাদী নায়ক নায়িকারা ‘অল আইজ ফর রাফাহ’ ট্রেন্ড পর্যন্ত চালায় । তাদের দাবি যে ইসরায়েলের অভিযানে নিরীহ ফিলিস্তিনি নাগরিকরা নাকি মারা যাচ্ছে । কেউ কেউ ক্যামেরার সামনে কেঁদে ভাঁসিয়েও দেয় । অথচ আজ তারাই বাংলাদেশের হিন্দু নরসংহার নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে ।
সন্ত্রাসী হামাসের প্রকৃত চরিত্র ওই সমস্ত ছদ্ম সেকুলারদের ‘ভন্ডামি’ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে সন্ত্রাসী হামাসের হাতে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল গাজার এক যুবককে । সত্য কথা বলায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের হাতে তাকে প্রাণ দিতে হল । সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে জবাই করে খুন করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । একজন ইহুদি গবেষক ডঃ এলি ডেভিড শনিবার(১০ আগস্ট) সকাল ১০.০৪ মিনিটে গাজার ওই যুবকের একটা ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন,’গতকাল গাজার এই লোকটি এই ভিডিওটি রেকর্ড করেছে। যিনি বলেছেন,”আমাদেরকে হামাসের হাত থেকে বাঁচান, ইহুদিদের থেকে নয়“। আর আজ তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে ।’ যদিও যুবকের নাম এবং তাকে কবে হত্যা করা হয়েছিল তা তিনি জানাননি ।
ভিডিওতে চিৎকার করে ওই ফিলিস্তিনি যুবককে নিজের ভাষায় কিছু বলতে শোনা যায় । ভিডিওতে দেওয়া ইংরেজি অনুবাদ অনুযায়ী যুবক বলেন, ‘আরব ও ইসলামী দেশের মানুষ আমার প্রার্থনা শুনুন, আমাদের হামাসের হাত থেকে রক্ষা করুন৷ ইহুদি নয়, ছমাসের হাত থেকে আমাদের বাঁচান । এই সেই হামাস যারা আমাদের প্রতিদিন রক্ত ঝরাচ্ছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়া আমাদের নারী এবং শিশুদেরকে দেখুন । আরব ও ইসলামী দেশ আমাদের বাঁচান ।’ ২৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে কথাগুলি বলার সময় প্রচন্ড উত্তেজিত দেখায় ওই যুবককে ।
ওই যুবকের সাহসিকতার অনেকে প্রশংসা করেছেন । চার্লি রেবারস্টার্ড লিখেছেন,’এটাই প্রকৃত বীরত্ব ও ত্যাগ। তিনি সম্ভবত এই ভিডিও রেকর্ড করার ঝুঁকি জানতেন এবং যাইহোক এটি করেছিলেন ।’ ডেবরা নামে এক ব্যবহারকারীর প্রতিক্রিয়া,’কিন্তু এটা নিয়ে কেউ কথা বলবে না। এটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্বারা আচ্ছাদিত সমস্ত ফিলিস্তিনি মিথ্যাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।’।