এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,৩০ মে : অবশেষে গ্রেফতার হল দিল্লির ১৬ বছরের কিশোরী সাক্ষীর ঘাতক মহম্মদ সাহিল খান (২০) । তাকে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ । সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে,সাক্ষীকে হত্যার পর সাহিল বুলন্দশহরে পালিয়ে যায় । দিল্লি থেকে বাসে করে বুলন্দশহর গিয়েছিলেন সাহিল । সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে লুকিয়ে ছিল । সে বুলন্দশহরে যাওয়ার পর নিজের মোবাইল ফোন অফ করে দিয়েছিল । কিন্তু নিজের বাবার সঙ্গে কথা কথা বলা জন্য একবার সে ফোন অন করেছিল । আর তখনই সাহিল খানের ফোন নম্বর প্রযুক্তিগত নজরদারি চালিয়ে লোকেশন টের পেয়ে যায় পুলিশ । এরপর দিল্লি পুলিশের একটা দল বুলন্দশহরে গিয়ে তাকে পাকড়াও করে ৷
রবিবার সাক্ষীকে খুনের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে । ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রথমে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে সাক্ষীকে এলোপাথাড়ি কোপাচ্ছে মহম্মদ সাহিল খান । সাক্ষী নিচে পড়ে গেলে তাকে লাথি মারতে শুরু করে সাহিল । তারপর একটা ভারি কিছু তুলে সে মেয়েটির মাথা থেঁতলে দিয়ে খুন করে । মৃত কিশোরী সাক্ষীর মৃতদেহের প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সামনে এসেছে । সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ভারি বস্তুর আঘাতজনিত কারনে সাক্ষীর মাথার খুলি ভেঙে গেছে । এদিকে হাড় হিমকরা এই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষোভে ফুঁসছে নেট জগত । উঠছে ঘাতক সাহিল খানের ফাঁসির দাবি । একই দাবি করেছেন মৃত কিশোরীর বাবাও ।।
ছবি : সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া ।