জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৩ ডিসেম্বর : রাজনৈতিক মঞ্চে যখন তিনি ভাষণ দেন তখন তীব্র ভাষায় তিনি বিরোধীদের আক্রমণ করেন। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত তার কিছু শব্দ বিতর্কের সৃষ্টি করে। এই একই ব্যক্তি আদিবাসী উৎসবে নিজস্ব ট্রাডিশনাল পোশাক পড়ে মাদল বাজিয়ে তার তালে তালে স্বজাতি মানুষদের সঙ্গে যখন নৃত্য করেন তখন কে বলবে এই মানুষটাই পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি যার কাঁধে অনেক প্রশাসনিক দায়িত্ব। আবার একই ব্যক্তিকে যাত্রা মঞ্চে চরিত্রের সঙ্গে আত্মিক হতে দেখা যায়। এই বহুমুখী প্রতিভাধর মানুষটি হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু। অন্যান্য ভূমিকায় তাকে আগে দেখা গেলেও গত পয়লা জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রথমবারের জন্য অভিনেতা দেবু টুডুকে দেখার সৌভাগ্য হলো আউশগ্রাম ২ ব্লকের অমরপুর অঞ্চলের বাসিন্দাদের।
দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে আউসগ্রাম ২ ব্লকের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি লালন সেখের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এলাকার প্রত্যেক মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয় এবং তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মেমেন্টো । উপস্থিত দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য এই অনুষ্ঠানের একটি অঙ্গ ছিল যাত্রাপালা ‘প্রেম বড় মধুর’।
প্রবল ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে দেবু টুডু প্রতিষ্ঠিত এবং অভিনিত ‘বুড়োমাতা নাট্যসমাজ’ পরিবেশিত ‘প্রেম বড় মধুর’ যাত্রাপালার স্বাদ গ্রহণের জন্য কয়েক হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন অমরপুর অঞ্চলের বিষ্ণুপর মাঠে । ‘অনল গাঙ্গুলী’ রূপী দেবু টুডুর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। লালন সাহেব ছাড়াও অন্যান্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্যা কাকলি রাজা, অমরপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোল্লা,স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ইবাদত সেখ সহ আরও অনেকেই। প্রত্যেকেই দেবু বাবুর অভিনয়ে মুগ্ধ।
লালন সাহেব বললেন,দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে দলের অন্যতম সৈনিক দেবু টুডুর অভিনয় যাতে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখার সুযোগ পায় তাই এই উদ্যোগ। আশাকরি সবাই তার অভিনয় উপভোগ করেছেন।
অন্যদিকে দেবু বাবু বললেন,ছোট বয়স থেকেই অভিনয়ের শখ। তাই পাড়ার ছেলেদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছি নাট্য ক্লাব। কাজের চাপে সেভাবে রিহার্সালের সুযোগ হয়না। তবে দু’চার নাইট ‘শো’ করার সুযোগ পেলে আমাদের দল যেকোনো পেশাদার দলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাবে ।।