প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৮ মে : মারধোর করে সহকর্মীর ছেলের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার ।শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই শুক্রবার রাতে এমন লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে ।ধৃতের নাম রাহুল ঘোষ । তিনি হাওড়া-বর্ধমান মেইন শাখার মেমারি স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার ।আক্রান্ত মণিশ শর্মা-র বাবা মনোজ শর্মা মেমারি স্টেশনেরই সিগন্যালিং বিভাগের আধিকারিক ।সহকারী স্টেশন মাস্টারের এমন আচরণের নিন্দা করেছেন মেমারি স্টেশনের অন্য রেল কর্মীরাও ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,মেমারি
থানার অদূরে রয়েছে রেলের কোয়ার্টার। সেখানে পাশাপাশি কোয়ার্টারের ঘরে বসবাস করেন রাহুল ঘোষ ও মনোজ শর্মার পরিবার । শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ মেমারি রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার রাহুল ঘোষ তাঁর কোয়াটারের আসেন।ওই সময়ে তাঁর কোয়ার্টারের সামনে সহকর্মী মনোজ শর্মার মোটর বাইকটি দাঁড় করানো ছিল। কোয়াটারে সামনে বাইক দাঁড় করানো আছে দেখে রাহুল ঘোষ লাথি মেরে বাইটি ফেলে দেন । ওই সময়ে পাশেই বসে থাকা মনোজ শর্মার ছেলে মণিশ তা দেখে প্রতিবাদ করেন । তিনি রাহুল ঘোষের কাছে বাইটি ফেলে দেওয়ার কারণ জানতে চান ।
মণিশের অভিযোগ তখনই মদ্যপ অবস্থায়
থাকা সহকারী স্টেশন মাস্টার রাহুল ঘোষ ঘর থেকে চেলা কাঠ বের করে এনে তার মাথায় সজোরে মারে ।
মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে শুরু করে । মনিশ জানিয়েছে তাঁকে বাঁচাতে তাঁর দিদি ও বোন ছুটো গেলে তাঁদেরও রাহুল ঘোষ চুলের মুঠি ধরে চড় থাপ্পড় মারতে থাকেন। তা দেখে কোয়ার্টারে অন্য প্রতিবেশীরা বাধা দিতে গেলে তারাও আক্রান্ত হন । মণিশ জানিয়েছে, রাতেই পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যান ।রক্তক্ষরণ আটকানোর জন্যে তাঁর মাথায় তিনটি স্টিচ করতে হয় ।
ঘটনার বিষয়ে মণিশ শর্মা রাতেই মেমারি থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার ভোরে কোয়ার্টার থেকে রাহুল ঘোষকে গ্রেপ্তার করে । অভিযুক্ত সহকারী স্টেশন মাস্টারকে শনিবার পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে সোমবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন । রাহুল ঘোষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন আক্রান্তের পরিবার ।