এইদিন ওয়েবডেস্ক, বাঁকুড়া,১৩ জানুয়ারী : রাজ্যের গ্রন্থগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে মন্ত্রিত্ব থেকে বহিষ্কার এবং গ্রেফতার করার দাবি তুললেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা । বুধবার বাঁকুড়া জেলার কাঁকরডাঙ্গার শেষ ঠিকানায় কালী পুজোর উদ্বোধন করতে এসে এই দাবি করেন রাহুলবাবু ।
কৃষি আইনের বিরোধিতায় বুধবার গলসিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ । ওই অবরোধের নেতৃত্বে ছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী । তার জেরে করোনা ভ্যাকসিনের কনভয় জাতীয় সড়কে বেশ কিছুক্ষণ আটকে যায় । মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অবরোধ কর্মসূচিতে করোনা ভ্যাকসিনের কনভয় আটকে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । এনিয়ে টুইটে খোঁচা দেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় । তাঁর পর এবার সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে গ্রেফতারের দাবি তুললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা ।
রাহুলবাবু বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস যে জনশত্রু এটাই তার সবচেয়ে বড় প্রমান । যে ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় সারা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে। সারা ভারতের পাশাপাশি এরাজ্যের মানুষ যে ভাকসিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে,সেই ভ্যাকসিনের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে । এর থেকে জন বিরোধী কাজ আর কিছু হতেই পারে না । কোভিড-১৯ এর সময় রাজ্য সরকার মানুষকে ভালোভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারেনি । আর আজকে যখন মোদিজী আগাম ভ্যাকসিন পাঠানোর ব্যাবস্থা করছেন তাকে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী আটকে দিচ্ছেন । তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন অবিলম্বে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে মন্ত্রীত্ব থেকে বরখাস্ত করুন । আর আজকেই ওনাকে গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিন ।’
দেখুন ভিডিও :
মঙ্গলবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছিলেন বিজেপির ৬ থেকে ৭ জন সাংসদ তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে । তাঁরা মে মাসের আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন । এছাড়া একাধিক বিজেপি বিধায়ক যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে গিয়েছেন তাঁরাও ফেরার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয় । এই প্রসঙ্গে এদিন রাহুল সিনহা বলেন, ‘উনি কবে বিজেপিতে যোগ দেবেন সেটা তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন । জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আমরা নেব না । তিনি কোভিড নাইনটিনের চাল চোর । নির্বাচনের পরেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে । আসলে তিনি মিথ্যা কথা বলে তৃনমূলের মনোবলকে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন ।’
এদিন বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরে কৃষক সুরক্ষা কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন রাহুল সিনহা । তিনি কাকর ডাঙ্গা এলাকা পাঁচ কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এক মুঠো করে চাল সংগ্রহ করেন । পরে স্থানীয় কৃষক সুশান্ত নন্দীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন । মধ্যাহ্নভোজনের থেকে ফেরার পথে পাত্রশায়ের এলাকা গোস্বামী গ্রামের ভগ্নপ্রায় বাঁশের সাঁকো দেখতে যান রাহুলবাবু । ওই জায়গায় পাকা সেতু করে দেওয়ার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । এই বিষয়ে রাহুল সিনহা বলেন, ‘২০২১সালে ক্ষমতায় আসার পর ব্রীজটি পাকা করে দেবো।’।