এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০১ জুন : উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সন্দেশখালির বেড়মজুর -২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপর স্থানীয় তৃণমূল নেতা কুদ্দুস শেখ এবং তার গুণ্ডা বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি জানান যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে । বিজেপি নেতা অমিত ঠাকুর টুইট করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালীর সরবেরিয়ার ৩৪ নম্বর বুথে বিজেপির তিনজনকে গুলি করা হয়েছে ।
ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর আজ সন্ধ্যায় কলকাতার সল্টলেকের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারী ওই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ বিকেলে ভোট শেষ হওয়ার আগে বসিরহাট লোকসভার সন্দেশখালির বেড়মজুর -২ গ্রাম পঞ্চায়েতে একটা ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে । আপনারা একটু পরে খবর পাবেন । এত বড় ঘটনা ওখানে ঘটে গেছে যে এক্সিট পোলও ঢাকা পড়ে যাবে । শাহজাহান শেখের বংশধর কুদ্দুস শেখ এবং তার গুণ্ডা বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে । আমাদের কাছে খবর আছে যে বিজেপির একজন কর্মী প্রায় মৃত্যুর পথে । সাথে সাথে আরো বেশ কয়েকজন কর্মী গুরুতরভাবে আহত হয়েছে তাদের হয়তো কল্যাণী বা এমস-এ স্থানান্তরিত করতে হবে ।’ তাঁর অভিযোগ, ‘সন্দেশখালিতে শুক্রবার রাতভর সীমাহীন অত্যাচার করেছে । সেই অত্যাচারের বর্ণনা দেওয়া যাবে না । সন্দেশখালির মা বোনেরা হাতের কাছে লাঠি বাঁস যা পেয়েছে তা নিয়ে তাড়া করার পরেও সাতজনকে নিয়ে পালিয়েছে ।’
পাশাপাশি তিনি এবারের ভোটে বিশেষ করে হিন্দুদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন । শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’আমরা এত ভোটে লড়াই করেছি কিন্তু কোনদিন দেখিনি যে হিন্দুদের ভোটদান থেকে আটকানো হয়েছে । এটা একটা নতুন ট্রেন্ড । মোদীজি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে আমরা পশ্চিম উত্তর প্রদেশে শুনতাম যে যারা উচ্চবর্ণের তারা নিম্ন বর্ণের ভোট দিতে দিত না । হরিয়ানাতেও শুনতাম । বিহারে শুনতাম । এখানে একটা নতুন ট্রেন্ড এসেছে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যায় কম আছে তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় আটকানো হয়েছে এবং পরিশেষে কয়েক লক্ষ হিন্দু আজ ভোটদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন । তার বেশিরভাগ অংশটায় ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের । দমদম বিধানসভার নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভার অন্তর্গত ২০০ এবং ২০১ নম্বর বুথে ২৫০ হিন্দু ভোট দিতে পারেনি৷ মারাত্মক রিগিং যেটা হয়েছে সেটা ক্যানিং পূর্বে, জীবনতলার বিভিন্ন এলাকায় এবং গোটা ডায়মন্ড হারবার জুড়ে ।’
তিনি বলেন,’ এটা নতুন কোন ঘটনা নয়৷ ষষ্ঠ দফায় আমরা পুলিশের অত্যাচার দেখেছিলাম । ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা বিজেপির এজেন্টদের পর্যন্ত ছাড়েনি । তাদের কাউকে আটক করা হয়েছে কাউকে বা ২০১৪ সালের মামলাতে ফরোয়ার্ড করা হয়েছে । আমরা গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে মমতা পুলিশের ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছি । মথুরাপুর, জয়নগরে, সন্দেশখালির বেড়মজুর -২ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রভৃতি এলাকায় আমাদের সাতজন কার্যকর্তাকে গ্রেফতার করেছে । কাউকে ছাড় দেয়নি । বাছাই করা পুলিশ পাঠিয়েছিল ।’।