প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২২ মে : লাঠি হাতে নিয়ে চেয়ারে বসে বিজেপি করা দুই যুবকে প্রকাশ্য দিবালোকে কানধরে ওঠবস করালেন তৃণমূল নেতা । আর নেতার পাশে বসে ওঠবসের সংখ্যা গুনলেন তাঁরই সাঙ্গ পাঙ্গরা। লকডাউনের মধ্যেই শনিবার শহর বর্ধমানের তিনকোনিয়া সংলগ্ন গুডশেড রোড়ে বসেছিল এমন রাজনৈতিক বিচারসভা।সেই বিচারসভায় যিনি ছিলের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা তিনি হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের এসি ও ওবিসি সেলের জেলা সম্পাদক অশোক মণ্ডল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব ।
বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর বর্ধমানে এই প্রথম কোনও বিজেপি কর্মী ও সমর্থককে প্রকাশ্যে কানধরে ওঠবস করানো হল এমনটা নয়। কয়েকদিন আগে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বৈকন্ঠপুরের ভরা বাজারে দাড়িয়ে বিজেপি কর্মী পরিবারের এক মহিলাকে তাঁর মেয়ের সামনেই কনধরে ওঠবোস করিয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে এক নেত্রী।তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে।সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে শনিবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন জেলা তৃণমূলের এসি ও ওবিসি সেলের সম্পাদক অশোক মণ্ডল ।
এই ঘটনা নিয়ে নিন্দার ঝড় যাই উঠুই তা নিয়ে অবশ্য বিচলিত নন তৃণমূল নেতা অশোক মণ্ডল। তিনি সাফাই দিয়েছেন, ”দুই যুবক তাঁর পাড়ারই ছেলে।ওরা ভুল করে বিজেপিতে চলে যায়। তারপর তৃণমূলে পাটি অফিসে ভাঙচুর করে। তবে এদিন ওই দুই বিজেপি সমর্থকে মারধর করা হয় নি।শুধুমাত্র কানধরে ওঠবোস করানো হয়েছে“। যদিও এলাকার বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন বলেন,“যাদের কনধরে ওঠবোস কারানো হয়েছে তাঁরা কেউ বিজেপির সক্রিয় কর্মী নয়।এদিনের ঘটনার জন্যে ওই দুই যুবককে পুলিশের কাছে নালিশ জানাতে বলা হয়েছে ।’।