এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর দিনাজপুর,২৫ জুলাই : ফের আক্রান্ত হতে হল এরাজ্যের পুলিশকে ৷ দক্ষিণ পরগনার কুলতলির পর এবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় অপহরণে অভিযুক্তদের ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকে। পুলিশ কর্মীদের ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতী দলের বিরুদ্ধে । গুরুতর জখম পুলিশের দুই আধিকারিক, এক কন্সটেবল ও একজন গাড়ির চালককে শিলিগুড়ির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়ার আমতলা এলাকায় । হামলার ঘটনার নেপথ্যে জেলবন্দি তৃণমূল কর্মী তাজেমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি বাহিনীর হাত রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে । প্রসঙ্গত,মাস খানেক আগে ‘ইনসাফ’ সভার নামে প্রেমী যুগল তরুন-তরুনীকে প্রকাশ্য রাস্তায় ফেলে কঞ্চির গোছা দিয়ে তালিবানি কায়দায় বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তাজেমুল ইসলামের বিরুদ্ধে । নৃসংশ মারধরের ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ । গ্রেফতার করা হয় তাজেমুলকে । বর্তমানে সে জেলে । তার পরেও চোপড়ায় যে সন্ত্রাসের আবহ অব্যাহত আছে খোদ পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় তা স্পষ্ট ।
জানা গেছে,অপহরণের মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বুধবার রাতে আমতলা এলাকায় হানা দেয় চোপড়া থানার পুলিশের একটা দল । সেই সময় ধারাল অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা । অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হয় ৪ জন।
এর দিন দশেক আগে সোনার দেবদেবী মূর্তি বিক্রির নামে প্রতারণা মামলার আসামি সাদ্দাম লস্করকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত দক্ষিণ পরগনা জেলার কুলতলি থানার পুলিশকে । সাদ্দামের পরিবারের মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ধরে ধাক্কাধাক্কি করে । সেই সময় সাদ্দামের ভাই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ । এদিকে সেই সুযোগে ঘরের মধ্যে থাকা গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে চম্পট দেয় কুলতলির দুই নম্বর জ্বালাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়তারহাটের বাসিন্দা সাদ্দাম ।।