হ্যাঁ আমিই সেই অতি অতি কালো মেয়ে
জন্ম লগ্নে যাকে দিয়েছো তকমা মহা আপদ বলে,
যৌবনে যুবতী রূপে যখন দাঁড়িয়েছি সামনে
মুখ ঘুরিয়েছো অবহেলায় ভালো না বাসার ছলে।
পুরুষ, তুমি নাকি শুধু রূপের পূজারী
ঘোষণা করেছো দ্বিধাহীন অহংকারে,
তবে কেন প্রেমিক রূপে মিথ্যে ছলনায়
ছুঁয়েছো শরীর বলো কোন অধিকারে?
কখনও পার্কে কখনও নির্জন নদীর তীরে
ছুঁয়েছো ঠোঁটের কোনা শরীরের অতি গোপনাঙ্গ,
একবারও কী একবারও কী হয়নি মনে
কেমন করে করছো কালো মেয়ের সঙ্গ?
মিলনের আনন্দোচ্ছল আবেগঘন লগ্নে
রিরংসার উত্তাপে যখন উঠেছে শীৎকার
ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিয়ে মখমলে শয্যায়
মুখে ফুঁটিয়ে তুলেছো খুশির রংবাহার।
না, তখন হয়নি লজ্জা একটুও তোমার
লজ্জা পেয়েছো যত দিতে স্ত্রীর অধিকার,
কালো মেয়ে ঘরণী হলে নাকি
সমাজে মুখ থাকবে না আর!!
ঘৃণায় সরিয়ে নিয়েছি মুখ আমিও
ওহে পুরুষ তুমি ভয়ানক কামুক কদাকার,
কালো মেয়ে বলে যারে করো অপমান
দয়া করে সে শরীর দিয়েছে তোমায় বারবার।
সেবা দিয়েছি,যত্ন দিয়েছি উজাড় করে
দিয়েছি লালসা বিহীন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা,
একদিন রূপে নয় শ্রদ্ধায় ডাকবে কাছে
খুঁজবে কালো মেয়ের হৃদয়ে ভালোবাসা।।