পথে সেদিন হঠাৎ দেখা, আঠারো বছর পর
চোখের ভিতর সেকি উচ্ছ্বাস, মনে তুমুল ঝড়।
তাকিয়ে ছিলাম অবাক হয়ে, ভাঙছিল অন্তর
ফিরে গেলাম সেই অতীতে, স্মৃতির ভীষণ জ্বর।
গল্প সে এক খুব পুরোনো, আবছা মনে পড়ে
বয়স তখন কতো হবে? পনেরো ষোলোর ঘরে।
অপেক্ষাতে কাটতো দুপুর, একটা ছুটির ঘণ্টা
কি জানি কেনো? মেঘ দেখলে ব্যকুল হত মনটা।
লুকিয়ে দেখা বিকেল বেলা, সুয্যি যখন পাটে
পাগল হাওয়া হাতছানিতে, ডাকত সবুজ মাঠে।
এ এক কথা- সে এক কথা, কথার যে নেই শেষ
কথায় কথায় ব্যকুল হওয়া, মন ছোঁয়া আশ্লেষ।
ভালো লাগা মন্দ লাগা, তখন আবেগে বানভাসি
সব আবদারের একই চাওয়া, তোমায় ভালোবাসি।
এক পা দু পা বাড়ালো বয়স, তখন মগ্ন পরীক্ষায়
বাড়ন্ত সেই তারিখ থেকেই, দু’জন ভিন্ন দুই দিশায়।
ছাড়িয়ে গেলো প্রেমের স্টেশন, হারিয়ে গেলো সব
ধীরে ধীরে একদিন থেমেই গেলো, মনের কলরব।
দু’চোখ এখন বড়ই অসহায়, কিসের যেন লোভ
মনের পাড়ায় প্রশ্ন হাজার, জমিয়ে রাখা ক্ষোভ।
হাতের রেখায় প্রতিশ্রুতি, আজও তারিখ গোনে
দুই পৃথিবীই আলাদা আজ, কে কার কথা শোনে।
এই পথের শেষে এসে, যখনই পিছন ফিরে দেখি
স্মৃতিগুলো লাগে ভীষণ ভারী, অনুভূতি সব মেকি।।