মাগো তোমার হার না মানা ঐ উদ্যম
আমিও পেলাম যেন আমার মাঝে,
যে লড়াই ছড়িয়ে আছে জীবন জুড়ে
তোমাকে পাই আমার প্রতিটি কাজে।
মাগো তোমার যাতনা ভরা জীবন যুদ্ধে
রক্ষা করেছ মোদের তব স্নেহের ক্রোড়ে,
তোমার মনের মমতা মাধুরী ছড়িয়ে দিয়ে
দিয়েছ জীবন আমাদের প্রতিটা মুহূর্তে ভ’রে।
তোমার ঐ সাগর-গভীর মনে লুকিয়ে আছে
কতনা রত্ন মুক্তো পান্না উজ্জ্বল মানিক,
সেই ধনেরই অল্প উত্তরাধিকারের হাত ধরে
হৃদয় মোর জীবনভোর সমৃদ্ধ হল ক্ষণিক।
বসনে তোমার মা নাই চাকচিক্যের রেশ
অবহেলিত অলকে পড়েছে হাজার জটা,
নিজের যতন ভুলেছো কর্তব্য জালে
তোমার মাঝে দেখিগো মা দশভুজার ছটা।
আননে তোমার আলোকিত ইন্দুর হাসি
মনে হয় যেন স্নিগ্ধ ফুলের রাশি,
মন পড়ে রয় তোমার কোমল আঁচল তলে
পেটের দায়ে জীবন করেছে পরবাসী।
উঠেছে মোদের জীবনে কতনা বিষম ঝড়
এসেছে কত তীব্র লাঞ্ছনা গঞ্জনা,
ঘরে বাইরে মুহুর্মুহু নিদারুণ ঝঞ্ঝাপাতে
আশৈশব ঢেলেছো জীবনে করুণা।
তোমার কাছেই শিখেছি জীবনের মন্ত্র
কর্তব্যে আমি নাহি দিব কভু ফাঁকি,
অতি সাধারণ রোজ জীবন যাপন করে
দায়িত্ব পালনে মোর জীবন রেখা আঁকি।
খাওয়া পরার নব্য বিলাসিতা সব ছাড়ি
চিন্তায় কাজে হতে হবে আধুনিক,
তোমার আদর্শে শিক্ষায় জেনেছি এসব কথা
জীবন যুদ্ধে আমি আজ নির্ভীক সৈনিক।
তোমার ঐ আকাশ-বিশাল মনে ভরা আছে
অনাবিল ঔদার্য্য স্নেহ মায়ার স্নিগ্ধতা,
মানুষের উপকারে নিত্য দেখেছি তোমায়
মানবী রূপে এক ঐশ্বরিক দক্ষতা।
কর্তব্য করুণা তোমার যেন ভুবনজোড়া
জননী রূপে তুমি তাই বিশ্বজয়ী,
পুত্রের চোখে তুমিই সেরা মা তুমি আমার
শ্রীময়ী রূপে তুমি মা স্নেহময়ী ।।