এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়া দিল্লি,২৭ এপ্রিল : ভারতে জালনোট পাঠাতে বাংলাদেশকে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই । আর তাতে যুক্ত রয়েছে আন্তর্জাতিক কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের একটি চক্র । সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে বাজেয়াপ্ত হওয়া বেশ কিছু ভারতীয় জাল নোট উদ্ধারের পর এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে । জালনোটের এই নেটওয়ারর্কের গতিবিধি রুখতে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগকে নিয়ে তৎপর হয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ।
২০২১ সালের নভেম্বরে ভারতীয় জালনোট পাচারে যুক্ত ফাতেমা আক্তার এবং শেখ মোহম্মদ আবু তালাব নামে দু’জনকে আটক করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ । এই দুই বাংলাদেশি নাগরিকের কাছ থেকে তখন উদ্ধার হয়েছিল ৭.৩৫ কোটি টাকার জাল নোট । পুলিশি জেরায় তারা কবুল করে বাংলাদেশকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে জাল নোট পাচার করত তারা । বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, এই জাল নোটগুলি তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানে । তারপর শ্রীলঙ্কা থেকে পাথরবোঝাই কন্টেনারে করে চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । চট্টগ্রাম থেকে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতে পাচারের মতলব করেছিল আইএসআইয়ের বাংলাদেশী এজেন্টরা ।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় ভারতীয় জাল টাকার কারবারি ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলে একজনকে । তার দেওয়া তথ্যে গ্রেফতার হয় আরও দুজন । তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগেও মেলে বেশ কিছু ভারতীয় জাল টাকা । এই তিনজনকে নিয়ে একই এলাকায় কাজল রেখা নামে এক মহিলার ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ । উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমানে ভারতীয় জাল টাকা । আটক করা হয় কাজল রেখাকে।
গোয়েন্দা সুত্রে খবর,জাল টাকা ভারতে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশে রীতিমতো একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে আইএসআই । সিন্ডিকেটে রয়েছে আইএসআইয়ের সদস্য ছাড়াও আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধী গ্রুপ দাউদ ইব্রাহিমের ডি-কোম্পানি,পাকিস্থানি ও বাংলাদেশি বেশ কিছু ব্যবসায়ী, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা এবং অন্যান্য মিডলম্যানেরা । মোটা টাকা বেতন দেওয়া হয় তাদের । পাকিস্থান থেকে অপারেট করা হয় এই চক্রটিকে ৷ এখন এই নেটওয়ার্কটি বন্ধ করতে বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযানে নেমেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ।।