প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৬ সেপ্টেম্বর : স্কুল আর যাওয়া হল না। পথে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু এক স্কুল ছাত্রের । জখম হয়েছে ওই ছাত্রের স্কুল পড়ুয়া বোন। মঙ্গলনার পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার মেটেডাঙ্গা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে,মৃত ছাত্রের নাম সেখ সামিম আক্তার(১৪) ।জখম ছাত্রীর নাম নাজিমা পারভীন। দু’জনে সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই বোন। মেটেডাঙ্গা গ্রামেই তাদের বাড়ি । সামিম মেটেডাঙ্গা জুনিয়র হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আর নাজিমা পারভীন একই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে।এই দুর্ঘটনার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তারই মধ্যে দুর্ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় ঘাতক গাড়ির চালক ও আরোহী।খবর পেয়ে খণ্ডঘোষ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয় ।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মঙ্গলবার সকালে স্কুল যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় সামিম আক্তার ও নাজিমা পারভীন। স্কুল যাওয়ার পথে মেটেডাঙ্গা এলাকায় একটি বেপরোয়া গাড়ি তাদের ধাক্কা মারে কিছুদূর গিয়ে গাড়িটিও উল্টে যায়। খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ।আহত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সামিম আক্তারকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেলে চিকিৎসাধীন নাজিমা পারভিন। দুর্ঘটনার পরই উত্তেজিত এলাকাবাসী রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে বর্ধমান বাঁকুড়া রোড। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।খানিকক্ষণ পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তোলেন স্থানীয়রা।
যে পরিবারে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই পরিবারের কর্তা শেখ কলিমুদ্দিন জানান;’ বাড়ি থেকে মাত্র হাফ কিমি দূরে স্কুলে যাচ্ছিল ওরা।অন্য দিনের মতই হেঁটে আমার মেয়ে আর ভাইপো স্কুলে যাচ্ছিল। একটা আওয়াজ হয়। একটা বেপরোয়া গাড়ি ওদের ধাক্কা মেরে রাস্তার ধারে উল্টে যায়। ‘
এলাকার বাসিন্দা শ্রীমন্ত রায় জানান; এই দুটি কিশোর কিশোরী স্কুলে যাবার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছি। দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ।।