দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৭ নভেম্বর : আচমকা কেতুগ্রামের তাঁতশিল্পীদের মাঝে দেখা গেল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে । তাঁর সঙ্গে ছিলেন বছর ত্রিশের এক আমেরিকান ছাত্রী । অভিজিৎবাবু তাঁতশিল্পীদের হাতের কাজ দেখেন । মনযোগ দিয়ে শোনেন তাঁদের সমস্যার কথা । দুপুরে কেতুগ্রামের বেনিনগর গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব সিনহা নামে জনৈক এক তাঁতশিল্পী বাড়িতে খাওয়াদাওয়াও করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ । এমন এক ব্যক্তিত্বকে কাছে পেয়ে আপ্লুত তাঁতশিল্পরা । যদিও এদিনের তাঁর সফরের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশের কাছে আগাম কোনও খবর ছিল না বলে জানা গেছে । পরে খবর পেয়ে বেনিনগর গ্রামে আসে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ ।
তবে অভিজিৎবাবুর নিরাপত্তার জন্য তার সঙ্গে ছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ফোর্স । নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সদস্যরা কেন তাঁদের নায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না তা খতিয়ে দেখতেই মূলত এদিন উনি এখানে এসেছেন । এটা ওনার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সফর । কেতুগ্রাম ঘুরে অভিজিৎবাবু কাটোয়া ২ ব্লকের আমডাঙ্গা গ্রামে গৌতম দাস নামে এক তাঁতশিল্পীর বাড়িতেও জান বলে জানা গেছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,কেতুগ্রাম থানার বেনিনগর গ্রামে প্রায় ১৫০ পরিবার হাতে বোনা তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্ত । এই গ্রামের তাঁতশিল্পিদের হাতের কাজের সুখ্যাতি বিশ্বজোড়া । এদিন এই গ্রামে এসে তাঁতশিল্পিদের হাতের কাজ দেখেন নোবেলজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি তাঁতশিল্পীদের সঙ্গে সহজ সরলভাবে কথা বলেন । তাঁতশিল্পীরাও তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা খুলে বলেন । তাঁতশিল্পী বাসুদেব সিনহা ও তাঁর ভাই রঘুনাথ সিনহারা বলেন, ‘আমাদের কাছে উনি জানতে চান কেন আমরা নায্য পারিশ্রমিক পাই না। তখন আমরা ওনাকে জানাই মধ্যস্বত্বভোগীদের জন্যই আমরা লাভের মুখ দেখতে পাইনা ।’পাশাপাশি তাঁরা বলেন, ‘এত বড় মাপের মানুষ আমাদের মাঝে এসে কথা বলবেন,এক সাথে বসে খাওয়া দাওয়া করবেন কল্পনাও করিনি ।’।