এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০২ ফেব্রুয়ারি : কাগজে ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দেখে বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন পাশের জেলার এক যুবক । সে নিজেকে কলেজ শিক্ষক হিসাবে পরিচয় দেয় । বিয়েতে উভয় পরিবার সম্মতিও দেয় । ইতিমধ্যে হবু কনের কাছ থেকে বিয়ের খরচখরচা বাবদ ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় যুবক । টাকা হাতানোর পর বারবার সে বিয়ের দিন পিছিয়ে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ । শেষ পর্যন্ত বুধবার বিয়ের দিন ঠিক হয় । সেই কারনে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে এদিন বিয়ে করতে মালদা শহরে এসেছিলেন আলিপুরদুয়ার শহর এলাকার বাসিন্দা পূজা সেন নামে বছর একত্রিশের ওই তরুনী । কিন্তু তাঁরা এসে দেখেন বর বেপাত্তা । মোবাইল ফোনের সুইচও অফ । শেষ পর্যন্ত সুমন মজুমদার নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এনিয়ে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুনী । অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে,আলিপুরদুয়ার শহর এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী বিবেকানন্দ সেনের একমাত্র মেয়ে পূজা । তিনি স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মরত । বিবেকানন্দবাবু বলেন, ‘মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্রের সন্ধানে কিছুদিন আগে আমি খবরের কাগজে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম । বিজ্ঞাপনে দেওয়া আমার মোবাইল নম্বর দেখে ফোন করে বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ ওই যুবক । নিজেকে সুমন মজুমদার নামে পরিচয় দেয় । সে জানায় তার বাড়ি মালদা শহরের সর্বমঙ্গলা পল্লী এলাকায় । রায়গঞ্জের একটি কলেজে নাকি শিক্ষকতা করে । তারপর ফোন মারফত কথাবার্তা চলে । আমরা বিয়েতে সম্মতিও দিয়ে দিই । তবে আমরা কখনও ছেলের বাড়ি দেখিনি । পাত্রপক্ষও আমাদের বাড়ি আসেনি । কেবল মাঝে মধ্যে মেয়ের অফিসে গিয়ে দেখা করত ওই যুবক ।’
বিবেকানন্দবাবুর মেয়ে পূজা সেন বলেন, ‘বিয়ে ঠিক হওয়ার পর নানান অজুহাত দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ধাপে ধাপে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিল সুমন মজুমদার নামে ওই ব্যক্তি । তারপর থেকেই একের পর এক বিয়ের দিন বাতিল করতে থাকে । শেষ পর্যন্ত এদিন রেজিস্ট্রি করে বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল । কথামত আমরা মালদার ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসে এসে অপেক্ষা করছিলাম । কিন্তু সুমন মজুমদার আসেনি । এদিকে ওর মোবাইল ফোনের সুইচও অফ ।’
জানা গেছে,ম্যারেজ রেজিষ্ট্রেশন অফিসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও হবু বর সুমন মজুমদার আসছে না দেখে মালদা শহরের সর্বমঙ্গলা পল্লী এলাকায় তাঁর সন্ধানে যান ওই তরুনী । সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা-মা । কিন্তু সর্বমঙ্গলা পল্লী এলাকায় হন্নে হয়ে খুঁজেও তাঁরা ওই যুবকের কোনও সন্ধান করতে পারেননি । শেষে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন ।।