এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার,১০ আগস্ট : নব্বইয়ের দশকে ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি যেভাবে কাশ্মিরী পন্ডিতদের নরসংহার করে উপত্যকাকে হিন্দু শুণ্য করার চক্রান্ত করেছিল,ঠিক একই কায়দায় জঙ্গি সংগঠন জামাত ইসলামি বাংলাদেশকে হিন্দু শুণ্য করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে । প্রতিদিন জামাত ইসলামির জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা, মেয়েদের ধর্ষণ, ঘরবাড়ি,দোকানপাট লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে । তাদের এই গোপন ষড়যন্ত্রকে আড়াল করতে বাংলাদেশের আর এক ভারত ও হিন্দু বিদ্বেষী রাজনৈতিক দল বিএনপির সমর্থক গোবিন্দ প্রামানিককে হাতিয়ার করছে । গোবিন্দের মুখ দিয়ে বলানো হচ্ছে যে এই হিংসা সাম্প্রদায়িক নয়, বরঞ্চ রাজনৈতিক । পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের একাংশও একই যুক্তি খাড়া করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে । যদিও বাংলাদেশের বাস্তবতা তাদের এই দাবি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বলে জানাচ্ছেন বাংলাদেশের আক্রান্ত হিন্দুরা । তাদের দাবি, এমন হিন্দুদের উপর হামলা হয়েছে যাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই ।
যাই হোক, জামাতের জঙ্গিদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে কাতারে কাতারে বাংলাদেশি হিন্দু ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছেন । শুক্রবার কোচবিহারের শীতলকুচি দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন প্রচুর বাংলাদেশি হিন্দু । কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের পাঠানটুলি গ্রামের কাশিয়ার বারোনি এলাকার সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে গোতামারি গ্রামে বাসন্তী মন্দিরের পাশে জমায়েত হন প্রায় হাজার দুয়েক হিন্দু আশ্রয়প্রার্থী ৷ হতদরিদ্র পরিবারের ওই সমস্ত হিন্দুরা “বাঁচতে চাই” শ্লোগান দেন । খর্প নদীর হাঁটু জল পেরিয়ে ভারতের সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। ‘জয় শ্রীরাম’,’ভারত মাতা কি জয়’,’শেখ হাসিনা জিন্দাবাদ’ প্রভৃতি স্লোগান দেন তারা । অনেককেই বলতে শোনা যায়, ‘বাংলাদেশের হিন্দুরা বাঁচতে চাই, তাই ভারতে আশ্রয় চাই’। দিনভর রোদ বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে আশ্রয়ের আর্জি জানাতে থাকেন তাঁরা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিজিবির আধিকারিকরা । আসেন বিএসএফের গোপালপুরের ডিআইজি কেবি যাদবসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারাও । শেষ পর্যন্ত বিকেল নাগাদ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে মাইকে প্রচার করে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হলে বাংলাদেশি হিন্দুরা বাড়ি ফিরে যেতে থাকেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এর সুযোগে ভূয়া আধার কার্ড তৈরি করে ভারতে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশি মুসলিমরাও । যা ভারত, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে । কোচবিহারের চ্যাঙড়াবান্ধায় ভুয়ো ভারতীয় আধারকার্ডসহ এনামুল হক সোহেল নামে এক বাংলাদেশি ব্যক্তি ও তার এক ছেলেকে পাকড়াও করেছে বিএসএফ। বিএসএফ এর জেরায় এনামুল কবুল করেছে যে তার বাড়ি বাংলাদেশের রঙপুরে । সাত দিনের ভিসা নিয়ে সে দিল্লি যাচ্ছিল । ওই ব্যক্তি জানান, চিকিৎসার খরচ কম করার জন্য নিজের দেশে এক অসাধু চক্রের কাছ থেকে ২০২০ সালে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতীয় আধার কার্ড তৈরি করেছিলেন। যদিও তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ ।
পাশাপাশি প্রাণ বাঁচিয়ে ভারতে আসতে ইচ্ছুক হিন্দুদের সীমান্তের কাছে ইসলামি জঙ্গিরা আটকে লুটপাট চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠছে । বাংলাদেশের বাওড়া নামে একটি এলাকায় বাংলাদেশি জঙ্গিরা নয়ন বর্মণ নামে এক বাংলাদেশি নাগরিকের সমস্ত টাকাপয়সা কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ । চ্যাঙড়াবান্ধা সীমান্তে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই অভিযোগ করেন নয়নবাবু ।।