এইদিন ওয়েবডেস্ক,টাঙ্গাইল,০২ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দিরের উপর মুসলিমদের হামলা অব্যাহত রয়েছে । এবারে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর এলাকায় মন্দিরে হামলা চালিয়ে দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল মাদ্রাসার এক ছাত্রের বিরুদ্ধে । পুলিশ অভিযুক্ত মুসলিম কিশোরকে গ্রেফতার করেছে ।
হিন্দু ভয়েসের প্রতিবেদনে জানা গেছে,গত ৩০ শে আগস্ট টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার অন্তর্গত মধুবাগচালা ইউনিয়নের দোখলা বাজারে একটি মন্দিরে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে । ওইদিন সকাল আটটা নাগাদ সকলের নজর এড়িয়ে পার্শ্ববর্তী পাকুল্যা গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোর মন্দিরে ঢুকে দেবী কালী,কাল ভৈরব, ভগবান শিব এবং ডাকিনী যোগিনী সহ ৭ টি প্রতিমা ভাঙচুর চালায় । স্থানীয় হিন্দুদের দেবদেবীর প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা নজরে পড়লে মধুপুর থানায় খবর দেয় । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে । তারপর পার্শ্ববর্তী দোকানদারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ওই মুসলিম কিশোরই প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত । জানা গেছে,পুলিশ প্রথমে কিশোরকে থানায় ডেকে পাঠায়। জেরায় ওই মুসলিম কিশোর প্রতিমা ভাঙ্গার কথা স্বীকার করে । সে জানায় যে ইসলামে মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ, তাই সে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।
জানা গেছে,বাংলাদেশের মৌলবাদী পুলিশ প্রথমে ওই জিহাদি কিশোরকে তার পরিবারের দাবির ভিত্তিতে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ঘোষণা করে এবং কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । কিন্তু পুলিশের মতলব বুঝতে পেরে রুখে দাঁড়ায় স্থানীয় হিন্দুরা । শেষে হিন্দুদের চাপে পড়ে পুলিশ কিশোরকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় ।
জানা গেছে,পাকুল্যা গ্রামের একটা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে মহম্মদ মনিরুজ্জামান নামে ওই কিশোর । ওই মাদ্রাসা থেকেই সে ইসলামি কট্টরপন্থী মানসিকতার শিক্ষা পেয়েছে বলে অভিযোগ । ফলে মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলছেন এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ ।।
তথ্যসূত্র ও ছবি : সৌজন্যে হিন্দু ভয়েস ।