দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৮ জুন : পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার কোজলসা গ্রামে রেণু খাতুনের হাত কেটে নেওয়ার ঘটনার পুনঃনির্মাণ হল শনিবার । এদিন বিকেল নাগাদ ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় রেণুর স্বামী শের মহম্মদ শেখ ওরফে সরিফুল, রেণুর দেবর চাঁদ মহন্মদ এবং দুই ভাড়াটে যুবক আসরাফ আলি শেখ ও হাবিবুর রহমানকে ৷ গত ৪ জুন রাতে যে ঘরে ঘটনাটা ঘটেছিল ধৃতদের প্রথমে সেই ঘরে নিয়ে যায় পুলিশ । তারপর পুলিশের সামনে সকলে নিজের নিজের ভূমিকা অভিনয় করে দেখায় ।
ধৃতরা জানায় প্রথমে , রেণুর ঘরে ঢোকার পর প্রথমে আসরাফ আলি শেখ একটা সাঁড়াশি দিয়ে রেণুর মাথায় আঘাত করে ৷ রেনু সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললে তাকে উপুড় করে শুইয়ে একটা ভোঁতা কাটারি দিয়ে হাতের কব্জি কাটতে শুরু করে সরিফুল ৷ হাবিব তখন রেনুর পা চেপে ধরেছিল ৷ আর চাঁদ মহন্মদ রেনুর ঘার চেপে ধরেছিল । পাশের ঘরে তখন ছিল সরিফুলের বাবা ও মা । ‘অপারেশন’ হয়ে যাওয়ার পরে আগে থেকে ভাড়া করে রাখা একটি টাটাসুমো গাড়িতে করে মুর্শিদাবাদের তালগ্রামে নিজের নিজের বাড়িতে পালিয়ে যায় চাঁদ মহন্মদ ও দুই ভাড়াটে যুবক । এদিকে অন্য একটি গাড়িতে রেণুকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আনে সরিফুল ।
এদিকে এদিন একটি নতুন তথ্য জানায় রেণু খাতুনের স্বামী শের মহম্মদ শেখ ওরফে সরিফুল। সে দাবি করে স্ত্রীর সরকারি চাকরির কারনে নিরাপত্তাহীনতা নয়,বরঞ্চ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল রেণু । বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও কোনও কাজ না হওয়ায় তাকে শিক্ষা দিতেই হাত কেটে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে সরিফুল দাবি করে । যদিও সরিফুলের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন রেণুর ভাই রিপন সেখ । তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেন, নিজেকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে সরিফুল ।
এই ঘটনায় এযাবৎ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । পাশাপাশি হাত কাটায় ব্যবহৃত কাটারি এবং ঘটনার সময় বিছানায় পেতে রাখা রক্তমাখা চাদরটি উদ্ধার করেছে পুলিশ ।।