এইদিন ওয়েবডেস্ক,কর্ণাটক,২৯ মার্চ : কর্ণাটকের উডুপির একটি সরকারি কলেজ থেকে ক্লাসের মধ্যে হিজাব পড়া নিয়ে বিতর্কের শুরু হয় । মুসলিম ছাত্রীদের একাংশ ক্লাসের মধ্যে হিজাব পরার আবেদন জানিয়ে কর্ণাটকে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছিলের । কিন্তু গত ১৫ মার্চ সেই পিটিশন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিত এবং বিচারপতি জেএমসহ তিন সদস্যের বেঞ্চ । হিজাব ইসলামের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলনের অংশ নয় বলে জানিয়ে ক্লাসে ধর্মীয় পোশাক পরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত । আর তার জেরে কর্ণাটকে দশম শ্রেণির সাধারণ পরীক্ষাতেই বসল না প্রায় ২০ হাজার মুসলিম ছাত্রী । এটি গত বছর পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার চেয়ে ৪৫.৭ শতাংশ বেশি বলে জানা গেছে ।
অন্যদিকে কর্ণাটকের হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (AIMPLB)। এছাড়াও এই বিষয়ে ওলামাদের সংগঠন ‘সমতা কেরালা জমিয়াতুল উলেমা’র পক্ষ থেকেও সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে ।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সচিব মহম্মদ ফজলুর রহিম, সদস্যা মুনিসা বুশরা এবং জলিসা সুলতানা ইয়াসিনদের দায়ের করা আবেদনে দাবি করা হয়েছে,কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ে কোরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে ।ইসলামিক আইন সম্পর্কে ভুল বুঝেছে কর্ণাটক হাইকোর্ট ।
এর আগে ইসলামিক সংগঠন জমিয়ত উলেমা ই হিন্দও কর্ণাটক হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছিল । তাদের বক্তব্য ছিল,এই সিদ্ধান্তের কারনে মুসলিম মেয়েদের শিক্ষা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে । হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করা মুসলিম ছাত্রীরাও দাবি করেছিলেন, সংবিধানের ২১ ও ১৯(১)(এ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হিজাব পরা তাঁদের ‘গোপনীয়তার ও অভিব্যক্তির অধিকার’ । যদিও তাঁদের এই দাবি খারিজ করে দেয় কর্ণাটক হাইকোর্ট । তা সত্ত্বেও উডুপির কিছু ছাত্রীকে বোরকা পরে স্কুল কলেজে যেতে দেখা গেছে ।।