প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২২ মে : করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যে শুরু হয়ে গেল সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রস্তুতি । সেই মতো ধান কেনার সেন্ট্রাল প্রোকিওরমেন্ট সেন্টার খোলার জন্যে রাজ্যের খাদ্য দফতরের উপ-সচিব চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দিলেন প্রতিটি জেলার খাদ্য নিয়ামককে। চিঠি পাওয়ার পর শুরু হয়ে গেছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৩০ টি সিপিসি চালু করার কাজ । কবে থেকে ধান কেনা শুরু হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে জেলার চাষিরা ।
খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে ৩৫০টি সিপিসি রয়েছে। চলতি বছরে যে ৫২ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল তার মধ্যে ৪০ লক্ষ টন ধান কেনা হয়ে গিয়েছে।বোরো মরসুমে রাজ্যে ১২ লক্ষ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়। উৎপাদন হয় প্রায় ৬৬ লক্ষ টন ধান। তবে বোরো মরসুমে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা এখনও ঠিক হয়নি। তার আগে চালু করা হচ্ছে সিপিসিগুলো । চাষিরা ধান নিয়ে এলে করোনা-বিধি মেনে ধান কেনা হবে।“
রাজ্যের অন্যতম উপ-অধিকর্তা আবির বালি বলেন, “রেজিস্ট্রেশনের পরেও যে সব চাষি আমন মরসুমে ধান বিক্রি করতে পারেননি, সেই সব চাষিকে ধান বিক্রিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে খাদ্যের বৈঠকে তা অনুমোদন করার কথা বলা হয়েছে।“অন্যদিকে রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন,যে সব জায়গায় সরকারি ব্যবস্থা ছাড়া ধান কেনার অন্য ব্যবস্থা নেই, সেখানেই এখন ধান কেনা চলবে ।’।