এইদিন ওয়েবডেস্ক,খুলনা,১৮ মে : তরুনীকে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে এনেছিল এক দম্পতি । তারপর মেয়েটিকে তারা পতিতাপল্লিতে বিক্রি করে দেয় । মেয়েটির পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয় । তবে তার আগেই গাঢাকা দেয় অভিযুক্তরা । মামলা গড়ায় আদালতে । বুধবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আবদুস সালাম খান-এর এজলাসে এই মামলার শুনানি হয় । বিচারক অভিযুক্ত দম্পতি খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ শাহীন শেখ ও তার স্ত্রী আছমা বেগম ওরফে সালমাকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন । এই মামলায় মোট ৮ জন সাক্ষ্য দেয়ব। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে । তবে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা পুলিশের খাতায় ফেরার বলে জানা গেছে ।
সরকারি আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ জানান,মহম্মদ শাহীন শেখ ও আছমা বেগমদের প্রতিবেশী ওই তরুনী । তরুনীর মা লাকি বেগমের অভিযোগ তার মেয়েকে ভারতে নিয়ে গিয়ে ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে বলেছিল মহম্মদ শাহীন শেখরা । তাঁদের কথায় বিশ্বাস করে তরুনীকে ওই দম্পতির হাতে তুলে দেয় মেয়েটির বাবা মা । ২০০৯ সালে মেয়েটিকে ভারতে নিয়ে যায় দম্পতি । সেখানে পতিতাপল্লিতে মেয়েটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয় । পরে ফোন মারফত মেয়েটি ঘটনার কথা জানালে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য দম্পতিকে চাপ দেয় মেয়েটির বাবা মা । তখন অভিযুক্ত দম্পতি ২০ হাজার টাকা দাবি করে । এরপর আইনের আশ্রয় নেয় তরুনীর পরিবার ।।