এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),১১ মে : করোনার দ্বিতীয় দফার ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে । প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা । এরাজ্যে চলছে আংশিক লকডাউন । এদিকে এমনিতেই বিগত প্রায় এক বছরের অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলি । তবে মিডডে মিলের সামগ্রী বন্টন চালু রাখা হয়েছে । কিন্তু পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে এসে ভিড় করতে না পারে সেই কারনে অবিভাবকের হাতে মিডডে মিলের সামগ্রী তুলে দেওয়ার জন্য সরকারিভাবে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র । মঙ্গলবার মঙ্গলকোটের বনকাপাসি এসএম উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল ভিড়ে ঠাসা লাইনে দাঁড়িয়ে মিডডে মিলের খাদ্য সামগ্রী নেওয়ার জন্য প্রতীক্ষা করছে পড়ুয়ারা । সরকারি গাইডলাইন উপেক্ষা করে এভাবে মিডডে মিল বিতরন করায় স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন । স্থানীয় গ্রামবাসীরা এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
জানা গেছে,মঙ্গলবার থেকে বনকাপাসি এসএম উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মে মাসের বরাদ্দ মিডডে মিল দেওয়া শুরু হয়েছে । ওই চারটি শ্রেণিতে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৫৫৬ জন । সরকারি নির্দেশিকা মত অবিভাবকের হাতে পড়ুয়াদের বরাদ্দ মিডডে মিল তুলে দেওয়ার কথা । কিন্তু তা উপেক্ষা করে এদিন ছোট ছোট পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হল তাদের জন্য বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী । ভিড়ে ঠাসা লাইনে দাঁড়িয়ে মিডডে মিল নিল পড়ুয়ারা । মুখে মাস্ক থাকলেও ছিল না সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও তাগিদ । সরকারি গাইডলাইন মেনে চলার কোনও উৎসাহই দেখা গেল না স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পিন্টু সাহার কথায়, ‘পড়ুয়াদের বরাদ্দ মিডডে মিল নেওয়ার জন্য আমরা অভিভাবকদের আসার জন্য বলেছিলাম । এদিন কিছু অভিভাবক এসেছিলেন । তবে কিছু পড়ূয়া নিজেরাই মিডডে মিল নিতে এসেছিল । তাই আমরা তাদের ফিরিয়ে দিতে পারিনি । তবে এরপর থেকে কেবলমাত্র অবিভাবকের হাতেই মিডিডে মিল তুলে দেওয়া হবে ।’।