এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২১ জুলাই : নিজেকে সেকুলার প্রমান করতে হিন্দু ধর্মকে নিশানা করা ভারতের তথাকথিত সেকুলার রাজনৈতিক দলের নেতাদের একটা সহজাত প্রবণতা । আর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের উদ্দেশ্য মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানো । এনডিএ-৩ সরকার আসার পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী হিন্দুদের “হিংসক” বলে অবিহিত করেছিলেন । লোকসভার ভোটের আগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছেলে উদয়নিধি স্ট্যলিন হিন্দুদের “ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া”র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন । কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র দেবী কালী নিয়ে পর্যন্ত কটুক্তি করেন । এবার একই পন্থা অবলম্বন করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ । তিনি দাবি করেছেন, হিন্দুত্ববাদী লোকেরাই মুসলমানের পোশাক পরে, নিজেরাই মন্দিরে আপত্তিকর খাদ্যসামগ্রী ফেলে, মূর্তি ভাঙে এবং নকল দাড়ি ও মাথার খুলির টুপি পরে । এটাকে তিনি সাইকো-সামাজিক মানসিক ব্যাধি হিসাবে অবিহিত করেছেন । তার এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি ।
গত ১৯ এপ্রিল সাগরিকা ঘোষ টুইট করেছেন, ‘হিন্দুত্ববাদী আদর্শের জন্য ইসলামি জঙ্গিবাদকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন। যদি এই ধরনের কোন জঙ্গিবাদ বাস্তবে বিদ্যমান না থাকে তবে তাদের নিজেদেরকে অনুপ্রাণিত করতে এবং নিজেদেরকে সহিংস উচ্চতায় রাখতে “ইসলামী” হুমকি তৈরি করতে হবে। এই কারণেই হিন্দুত্ববাদী লোকেরা প্রায়শই মুসলমানের পোশাক পরে, নিজেরাই মন্দিরে আপত্তিকর খাদ্যসামগ্রী ফেলে, মূর্তি ভাঙে এবং নকল দাড়ি ও মাথার খুলির টুপি পরে। এটি একটি সাইকো- সামাজিক মানসিক ব্যাধির পাশাপাশি একটি গতিশীল কৌশল। মুসলমানদের উপর দোষ চাপানোর জন্য একজন হিন্দু পুরোহিত দ্বারা নিজেই একটি গণেশ মূর্তি ভাঙা হল সাম্প্রতিক ঘটনা ।’
উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে,’হিন্দুত্ববাদ ইসলামি চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করে; সাগরিকার কৌশল হল হিন্দুদের পৈশাচিক আখ্যা দিয়ে মৌলবাদকে রক্ষা করার একটি লজ্জাজনক প্রচেষ্টা মাত্র । ধিক্কার !’
সাগরিকা ঘোষ ও মহুয়া মৈত্র : ছবি সাগরিকা ঘোষের এক্স হ্যান্ডেল থেকে নেওয়া৷