এইদিন ওয়েবডেস্ক,বরগুনা(বাংলাদেশ),১২ মার্চ : সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ করে গ্নধর্ষণ করেছিল প্রতিবেশী মুসলিমরা যুবক । এনিয়ে থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা ৷ আর তার সেই অপরাধের জন্য নির্যাতিতা হিন্দু কিশোরীর বাবাকে খুন করার অভিযোগ উঠল । ঘটনাটি বাংলাদেশের বরগুনা পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি কড়ইতলা এলাকার । মৃতের নাম মন্টু চন্দ্র দাস(৩৫) । তিনি মৃত জয়েশ্বর দাসের ছেলে। মঙ্গলবার রাতে বাড়ির অদূরে ঝোপের মধ্যে তার লাশ একটা গাছের সঙ্গে ঠেস দিয়ে বসা অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন । খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় । প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান যে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
জানা গেছে,মৃত মন্টু চন্দ্র দাস বরগুনা পৌর বাজারের জনৈক জাকির নামে এক ব্যবসায়ীর মুরগীর দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন । সপ্তাহ খানেক আগে তার সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া মেয়েকে কয়েকজন স্থানীয় মুসলিম যুবক তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছিল । পরে নির্যাতিতা কিশোরী বাড়ি ফিরে এসে ঘটনার কথা জানালে এনিয়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেন মন্টু চন্দ্র দাস । পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায় ।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর,প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালেও যথারীতি কাজে গিয়েছিলে মন্টুবাবু । কিন্তু তারপর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি । নিহতের স্ত্রী শিখা রানী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তার স্বামী রাতে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন, ব্যবসায়িক কাজে বাড়িয় ফিরতে দেরি হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বাড়িতে না ফিরলে আবারও তিনি স্বামীর মোবাইলে ফের ফোন করেন । তবে রিং হলেও ফোন রিসিভ করা হয়নি । এরপর মোবাইলের রিংটোনের আওয়াজ শুনে বাড়ির পেছনে গেলে ঝোপের মাঝে একটা গাছে হেলান দেওয়া অবস্থায় তার স্বামীর মৃতদেহ পরে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের কাদামাখা মৃতদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের পরিবারের দাবি, মেয়েকে ধর্ষণের মামলা করার আক্রোশের জেরেই হত্যা করা হয়েছে তাকে। মৃতদেহের প্রাথমিক সুরতহাল তদন্তে বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম।।