এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১৮ ডিসেম্বর : শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফার পর থেকে শাসকদলে একের পর এক ভাঙন লক্ষ্য করা যাচ্ছে । কোথাও কোথাও তৃণমুল নেতারা সরাসরি দলত্যাগের কথা ঘোষনা করছেন । আবার কোথাও দলত্যাগ না করলেও বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন কিছু তৃণমুল নেতা । এক কথায় শুভেন্দু পর্বের পর থেকে তৃনমুলের ক্ষেত্রে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না । এবার মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে দেখা গেল তৃণমুলের ভাঙন । তৃণমুল ছেড়ে ৫০ জন সংখ্যালঘু বিজেপিতে যোগদান করেছে বলে দাবি বিজেপির । তাঁদের মধ্যে একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য,অঞ্চলের নেতাও রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে । যদিও এই যোগদানকে সাজানো ঘটনা বলে তৃণমুল নেতৃত্বের তরফ থেকে পালটা দাবি করা হয়েছে ।
জানা গেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর অঞ্চলের রামপুরে বিজেপির একটি পথসভা ছিল । ওই পথসভাতে প্রায় ৫০ জন সংখ্যালঘু বিজেপিতে যোগদান করেছে বলে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে । হরিশ্চন্দ্রপুর দক্ষিনের বিজেপির ১ নম্বর মন্ডলের নেতা রূপেশ আগরওয়ালা বলেন, ” সিরাজের নেতৃত্বে ৫০ জন সংখ্যালঘু আজ বিজেপিতে যোগদান করলেন । ওনারা প্রত্যেকেই সক্রিয় তৃণমুল কর্মী ছিলেন । কিন্তু তৃণমুলের দুর্নীতি ও রীতি রেওয়াজ ওনারা মেনে নিতে পারছিলেন না । তাই মোদিজীর ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে ওনারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘শুনলাম হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল দলনেতা দ্রোণাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায় আজ পদত্যাগ করেছেন । তৃণমুলের বুথস্তরের সাধারন কর্মী থেকে এমএলএ, এমপিরা আজ দলে সম্মান পাচ্ছেন না । তাই সকলে দলত্যাগ করছেন । একমাস পর দেখবেন দলত্যাগের ঝড় বয়ে যাবে ।’
অন্যদিকে এই যোগদানকে সাজানো ঘটনা বলে তৃণমুলের তরফ থেকে পালটা দাবি করা হয়েছে ।
তৃণমুলের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক সভাপতি মানিক দাস বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে। নিজেদের লোককে নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে ভাওতাবাজি দিচ্ছে বিজেপি।’ যদিও সাজিরুল ইসলাম নামে এক যোগদানকারী বলেন, ‘আমি ৫ বছর ধরে তৃণমূল করতাম । কিন্তু ওদের দুর্নীতির জন্য দল ছাড়তে বাধ্য হলাম ।’ পাশাপাশি তাঁর দাবি, ‘বিজেপি সবার জন্য কাজ করে।’