আমিরুল ইসলাম,ভাতাড়(পূর্ব বর্ধমান),০১ ফেব্রুয়ারী : ‘যদি থাকে এ কপালে, রত্ন এনে দেয় গোপালে /কপালে বিমতি হলে দুর্ব বনে বাঘে মারে।’ লালন ফকিরের এই গানের বাস্তবিক রূপ আজ ফের দেখতে পেলো ভাতারবাসী । তবে কাউকে বাঘে মারেনি । ‘কপালের গুনে’ আজ কোটিপতি হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতাড় থানার বানেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ওরফে ভোলা । মাত্র ত্রিশ টাকার টিকিট কেটে এক কোটি টাকার পুরষ্কার জিতে নিলেন পেশায় মাছের ব্যাবসায়ী ভোলা ।
বানেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ওরফে ভোলার বাড়িতে রয়েছেন বাবা-মা,স্ত্রী ও সন্তান । ভাতাড় বাজারে মাছের ব্যাবসা করেন । সেই রোজগারে অতি কষ্টে চলে সংসার । ব্যাবসা শেষে রোজ দুপুরে ভাতাড় রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার টিকিট বিক্রেতা মেনুকা বেগমের দোকানে কিছুক্ষনের জন্য আড্ডা দেওয়াটা কার্যত অভ্যাসে পরিনত হয়ে গিয়েছে ভোলার । আড্ডার ফাঁকে টিকিটের নম্বরগুলোতে একবার করে নজর বুলিয়ে নিত সে । কোনও নম্বর মনে ধরলে সেই টিকিট কেটে ঘরে ফিরত । তবে ভাগ্য তাঁকে সর্বদা বিমুখ করত না । মাঝে মধ্যে ছোট খাটো পুরষ্কারও পেয়েছে ভোলা । তবে এক কোটি টাকার জেতাটা দিবাস্বপ্নের মত লাগছে ভোলার কাছে ।
ভোলা জানিয়েছেন, প্রত্যেকদিনের মত এদিনও ব্যাবসা সেরে মেনুকা বেগমের দোকানে গিয়েছিলেন । যথারীতি টিকিটের নম্বরগুলোতে তিনি চোখ বোলাচ্ছিলেন । সেই সময় নাগালান্ড স্টেট লটারির ১৩৭২৩ নম্বরটি তাঁর পছন্দ হয়ে যায় । তারপর ৩০ টাকা দিয়ে ৫ সেমের ওই টিকিটটি কিনে তিনি বাড়ি চলে যান । পরে ফোনে জানতে পারেন ওই নম্বরটিতে প্রথম পুরষ্কার পড়েছে ।
তিনি বলেন, ‘এর আগেও আমি লটারি টিকিটে অল্পসল্প টাকা পেয়েছি । কিন্তু প্রথম পুরস্কার পাবো এটা কখনও কল্পনাও করতে পারিনি । এবার একটা ভালো পাকা বাড়ি তৈরি করার স্বপ্ন আমার পূর্ণ হবে । সেই সঙ্গে ব্যবসাটাও বাড়াবো ।’
মাস খানেক আগে ভাতাড়ের বামশোর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় জনমজুর মূক ও বধির এক ব্যক্তি এক কোটি টাকার পুরষ্কার জিতেছিলেন । এদিন ফের দরিদ্র পরিবারের আরও এক ব্যক্তি এক কোটি টাকার পুরষ্কার জেতায় খুশির হাওয়া এলাকায় ।।