এইদিন ওয়েবডেস্ক,হেগ,২৯ এপ্রিল : মাত্র ৪১ বছর বয়সে ৫৫০ সন্তানের জনক ডাচম্যান জোনাথন মেইজার(Jonathan Meijer) । গোটা বিশ্বজুড়ে রয়েছে তার সন্তান । কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও আর তিনি সন্তানের বাবা হতে পারবেন না । শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের হেগ কোর্ট জোনাথনকে নির্দেশ দিয়েছে এবার ক্লিনিকগুলিতে বীর্য দান বন্ধ করুন, নচেৎ আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘনের দায়ে আপনাকে প্রতিক্ষেত্রে ১,০০,০০০ ইউরো বা ১৬৬.৮০০ ইউএস ডলার জরিমানা গুনতে হতে পারে । এছাড়াও আদালত তাকে ক্লিনিকগুলিতে শুক্রাণু দান করা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সংগৃহীত সমস্ত বীর্যের নমুনাগুলি ধ্বংস করতে বলেছে ।
আসলে মেইজারের শুক্রাণু ব্যবহার করতে যাওয়া ডাচ অভিভাবকদের স্বার্থ এবং দাতা শিশুদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ডোনারকাইন্ড ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা এই বিষয়ে আদালতে একটি মামলা করে । এটি ছিল একটি দেওয়ানী মামলা । গ্রুপের বোর্ড সদস্য এস্টার ডি লাউ বলেন,দাতাদের দ্বারা গর্ভধারণ করা লোকেরা তরুন বয়সে বেশিরভাগ সময় তাদের আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে চায় । এতে শিশুদের গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন হয় । শিশুদের ব্যক্তিগত জীবনের অধিকার লঙ্ঘন করে এবং রোমান্টিক সম্পর্কগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।’ তিনি বলেন, আদালতের এই রায়ে আমরা খুব খুশি ।
প্রসঙ্গত,২০১৭ সালে মেইজারের দ্বারা গণ শুক্রাণু দানের ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে । ডাচ ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলিতে তাকে শুক্রাণু দান করা থেকে আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল । কিন্তু তার আগেই মেইজারের শুক্রাণু দানের মাধ্যমে শতাধিক শিশুর জন্ম হয় । এদিকে ডাচ আদালত শুক্রাণু দান নিষিদ্ধ করলেও তিনি তার কাজ বন্ধ করেননি । তিনি ডেনিশ স্পার্ম ব্যাঙ্ক ক্রায়োস সহ বিদেশী ক্লিনিকগুলিতে শুক্রাণু দান অব্যাহত রাখেন । শুধু তাই নয়, স্পার্ম ডোনেশন সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও শুক্রাণু দান করছিলেন তিনি। আলজেমিন দাগলাদ ডেইলি রিপোর্ট করেছেন যে তিনি মাঝে মাঝে বিভিন্ন নামে শুক্রাণু দান করতেন । ডাচ আদালত এখন তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, যা ব্যবসায়িকভাবে শুক্রাণু দান করে অর্থ উপার্জন করছিলেন জোনাথন মেইজার । এবার আদালতের নির্দেশের বাইরে শুক্রাণু দান করলে তাকে প্রতি মামলায় এক লাখ ইউরো জরিমানা গুনতে হবে ।।