এইদিন ওয়েবডেস্ক,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৯ জানুয়ারী : বিধানসভা ভোটের দিনক্ষন ঘোষনা হয়ে গেলে সহায়কমূল্যে ধান বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে । ফলে ধান বিক্রি করতে ইচ্ছুক যে সমস্ত কৃষকরা ধান বিক্রি করার জন্য ইতিমধ্যে নাম নথিভুক্ত করে রেখেছেন তাঁরা আর ধান বিক্রি করতে পারবেন না । এই আশঙ্কায় ও অবিলম্বে সকল কৃষককে সহায়কমূল্যে ধান বিক্রির সু্যোগ করে দেওয়ার দাবিতে আউশগ্রামের বিল্বগ্রাম কৃষি সমবায় সমিতি অফিসে তালা ঝোলালেন বিল্বগ্রাম ও ভোতা গ্রামের শতাধিক কৃষক । পাশাপাশি তাঁরা সমবায় ম্যানেজার, সম্পাদক ফাল্গুনী গোস্বামীসহ অফিসের কর্মীদের অফিসের মধ্যে বন্দি করে রাখেন । চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আউশগ্রাম-১ বিডিও ও পুলিশ । শেষে বিডিওর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন তুলে নেন কৃষকরা । সমবায়ের কর্মীরা ঘেরাও মুক্ত হন ।
আউশগ্রামের বিল্বগ্রাম কৃষি সমবায় সমিতিটি মূলত বিল্বগ্রাম ও ভোতা গ্রাম নিয়েই গড়ে উঠেছে । দুই গ্রামের সাড়ে তিনশোরও অধিক কৃষক সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে । কৃষকরা জানিয়েছেন, সমবায় সমিতি থেকে সম্প্রতি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র ২০ জন কৃষকের ধান নেওয়া হবে ।
স্থানীয় কৃষকদের আশঙ্কা,যে কোনও সময় রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করা হতে পারে । ফলে নির্বাচনী বিধির কারনে তখন সহায়ক মূল্যে ধান কেনা বন্ধ হয়ে যাবে । ফলে যে সমস্ত কৃষক ধান বিক্রির জন্য নাম নথিভূক্ত করে রেখেছেন তাঁদের অধিকাংশ জন বঞ্চিত হবেন ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে বিল্বগ্রাম ও ভোতা গ্রামের শতাধিক কৃষক সমবায় সমিতির অফিসের সামনে জড়ো হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । তাঁরা দাবি তোলেন অবিলম্বে নথিভুক্ত সমস্ত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে । এরপর ক্ষিপ্ত কৃষকরা সমবায়ের কর্মীদের সমবায় অফিসের মধ্যে আটকে রেখে তালা ঝুলিয়ে দেন । যদিও বেশ কিছুক্ষন পর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ।
বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সমবায়ের ম্যানেজার পলাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের কোনও গাফিলতি নেই । যে সংস্থা ধান কিনছে আমরা বারবার সেখানে অনুরোধ করছি । বিধায়কও সুপারিশ করেছেন । কিন্তু এযাবৎ ওই সংস্থা ধান কেনার অনুমতি দেয়নি । তাই ধান নিতে পারছি না।”।