এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুজরাট,১৬ জুন : বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে গুজরাটে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় “বিপর্যয়” । প্রবল ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে । উপড়ে পড়েছে বহু গাছ । ফলে রাজ্যের জামনগর, দ্বারকা, কচ্ছ এবং পোরবন্দর সহ কয়েকটি জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে । গুজরাট উপকূলে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এই ঝড় দ্রুত সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ এলাকার দিকে এগিয়ে চলেছে। কচ্ছের মান্ডভি এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। ঝড়ো হাওয়ার কারণে সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ এলাকায় বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়তে শুরু করেছে । আজ শুক্রবার সকালে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কচ্ছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবারও সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছে ভারী বৃষ্টি চলবে ।
আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে । ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকা থেকে ৯৪ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৫টি জাহাজ, ৭টি বিমান, এনডিআরএফের দল মোতায়েন করা হয়েছে। লোকজনকে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোথাও গাছ উপড়ে আবার কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে। একদিকে গুজরাটে ভূমিধসের সময় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রশাসন ও জনগণের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে বিপরজয়ের ‘আফটার এফেক্ট’ নিয়েও আশঙ্কা রয়ে গেছে । গুজরাজের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল প্রতিনিয়ত ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রতি মুহূর্তে তথ্য নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।
আজ শুক্রবার রাজস্থানে প্রবেশ করবেন ‘বিপর্যয়’ ।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে,আজ সকালের মধ্যে বিপর্যয় কিছুটা দুর্বল হয়ে রাজস্থানের দিকে অগ্রসর হবে। ঝড়ের নজর বর্তমানে পাকিস্তান-কচ্ছ সীমান্তের কাছে । যদিও ঝড়ের গতি কমেছে । বর্তমানে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বইছে । রাজস্থানের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে ।।